কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই মুহূর্তে একটি নাম নিয়ে চর্চার কোনও শেষ নেই। তিনি হলেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলকে জেরা করে গোপাল দলপতির কথা জানতে পেরেছিল গোয়েন্দা সংস্থা। তারপরই সামনে আসে তাঁর স্ত্রী হৈমন্তীর নাম। ইতিমধ্যেই গোপাল এবং হৈমন্তীর বিপুল টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। অনুমান, দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা রয়েছে তাঁদের নামে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনা সম্ভব হয়নি হৈমন্তীকে। তিনি কোথায়? সেটা কার্যত খোলসা করলেন গোপাল।
আরও পড়ুন- সঠিক সময়ে সব কিছুর উত্তর দেব, অন্তরাল থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন হৈমন্তী
হৈমন্তীর স্বামী দাবি করেছেন, স্নায়ুরোগে ভুগছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসা চলছে। যদিও আপাতত তিনি সুস্থ এবং শীঘ্রই সামনে আসবেন তিনি। গোপালের বক্তব্য, শেষ কয়েকদিনে তাঁকে ঘিরে যা হচ্ছে, তাঁর নাম যা যা বলা হচ্ছে সেইসব নিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন। গোপাল-হৈমন্তীর বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে এই বিষয় থেকে স্ত্রীকে যে দূরে রাখতে চাইছেন গোপাল তা স্পষ্ট। কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছিল যে হৈমন্তী নেপালে। সেই ব্যাপারটি ভুল বলে দাবি গোপালের। তাঁর কথায়, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন তাঁর স্ত্রী, তাঁকে নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অন্তরাল থেকে এই প্রথম মুখ খুললেন হৈমন্তী! Haimanti Ganguly speaks up finally” width=”853″>
এদিকে ইডি এবং সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের পর থেকেই যৌথ ভাবে সম্পত্তি কিনতে শুরু করেন হৈমন্তী ও গোপাল। ওই সময় থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল টাকা তাপস মণ্ডল ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতির হাতে আসতে শুরু করে। সেই টাকা দিয়েই একের পর এক সম্পত্তি কিনতে শুরু করেন তারা।নতুন সম্পত্তি কেনার জন্যেই নিজের নাম পরিবর্তন করে আরমান হয়ে যান গোপাল।