রায়গঞ্জ: বিজেপির যুব নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার গভীররাতে বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দেয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় ভক্ত কুমার রায়ের বাড়ি থেকে। উদ্ধার হওয়া বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম্ব স্কোয়াডকে আনা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
রায়গঞ্জ পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি ভক্ত কুমার রায়। জানা গেছে, ওই নেতার বাড়িতে বে আইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা মজুত রয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর রাত প্রায় ২টা নাগাদ ভক্ত কুমার রায়ের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় বাড়ি থেকেই। বোমাও মজুত রাখা ছিল বাড়ির উঠোনে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ রাতেই হেফাজতে নেয় বিজেপি নেতাকে।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার বলেন, লোকসভা ভোটের আগে পুলিশ মিথ্যে মামলায় ফাসিয়েছে তাঁদের নেতাকে। পুলিশ নিজেই বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন। ভক্ত কুমার রায়কে মিথ্যে মামলায় ফাসানোর অভিযোগে জেলাজুড়ে ব্যাপক আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রদীপ বাবু। জেলা পুলিশ সুত্রের , বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা মজুত রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভক্ত কুমার রায়কে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হচ্ছে।
“বাড়িতে পুলিশ গিয়ে নিজেই বোমা পিস্তল রেখে আমাকে ফাসিয়েছে। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত”, আদালতে দাঁড়িয়ে এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অস্ত্র আইনে ধৃত বিজেপির যুব নেতা ভক্ত কুমার রায়।
শনিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিজেপির যুব মোর্চা নেতা ভক্ত কুমার রায়ের বাড়িতে হানা দেয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। বোমা পিস্তল উদ্ধার হয় ভক্তের বাড়ি থেকে। এরপর বাড়িতে অবৈধ বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ভক্ত কুমার রায়কে। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে রায়গঞ্জ আদালতে পাঠানো হয় ভক্ত রায়কে। এদিন আদালতে পুলিশ বিজেপি নেতাকে নিয়ে আসার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভক্ত বাবু অভিযোগ করে বলেন, “এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। পুলিশ বাড়িতে গিয়ে নিজেই বোমা পিস্তল রেখে আমাকে গ্রেপ্তার করেছে৷” এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘটনার প্রতিবাদে জেলাজুড়ে ব্যাপক আন্দোলনে নামবে দল।