নিজস্ব প্রতিনিধি, মধ্যমগ্রাম: ছেলের খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে রাজ্য সরকার! প্রতারণা করেছে সরকার ও শাসকদল। মোর্চা-তৃণমূল জোট প্রস্তাবের কথা শোনার পর প্রতিক্রিয়া নিহত পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের বাবা সৌমেন মালিকের। বললেন, বিচারের জন্য এবার রাজ্যপালের কাছে যাবেন। ছেলের হত্যার সিবিআই ও এনআইএ তদন্ত দাবি করলেন।
২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর বিমল গুরুংকে ধরার জন্য দার্জিলিংয়ের পাতলেবাসে মোর্চার ডেরায় অভিযান চালাতে গিয়ে গুলিতে খুন হন রাজ্য পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিক। এফআইআরে নাম ছিল মোর্চা নেতা বিমল গুরুং ও রোশন গিরিসহ অন্যান্যদের। বুধবার কলকাতায় এসে বিমল গুরুং সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, বিজেপি জোট ছেড়ে তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চান। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাতে সম্মতিও জানানো হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শহিদ অমিতাভ মালিকের বাবা সৌমেন মালিক। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন অমিতাভর খুনিদের শাস্তি হবে। কিন্তু তার বদলে দেখা যাচ্ছে ছেলের খুনিদের সঙ্গে সরকার হাত মেলাচ্ছে। তাঁর দাবি তাঁদের সঙ্গে সরকার ও শাসক দল প্রতারণা করেছে। তিনি বলেন তাঁরা নিশ্চিত যে এই সরকারের কাছে বিচার পাওয়া যাবে না। এবিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে তাঁরা রাজ্যপালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাবেন বলেও জানান।
সৌমেনবাবুর দাবি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন কিন্তু তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। তিনি বলেন তাঁর ছেলের মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্র হয়েছে। ঘটনার জন্য তিনি সিবিআই ও এনআইএ তদন্ত চাইলেন অমিতাভর বাবা। তাঁর আশঙ্কা বিচার চাওয়ার জন্য তাঁদের ওপর আক্রমণ হতে পারে। ইউএপিএ আইনে অভিযুক্ত গুরুংয়ের কলকাতায় আসা নিয়েও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্ন উঠেছে। এদিনও অমিতাভর স্ত্রী বিউটি মালিকের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন অমিতাভর বাবা। তিনি বলেন তাঁদের কোনও খোঁজ রাখেন না বিউটি। এমনকি বিউটি আরেক পুলিশকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন বলেও দাবি তাঁর। ছেলের মৃত্যুর পর সরকারের বিচারের আশায় বসে থাকা বাবার এই বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগের কী জবাব দেয় সরকার সেই এখন দেখার।