বাংলায় ফিরে কীভাবে থাকবেন পরিযায়ীরা? নয়া গাইডলাইন রাজ্যের

বাংলায় ফিরে কীভাবে থাকবেন পরিযায়ীরা? নয়া গাইডলাইন রাজ্যের

কলকাতা: পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা৷ অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সরগরম রাজনীতির আঙিনা৷ আজ বিকেলে নবান্নের বৈঠকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের খরচের খতিয়ান পেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়েছেন, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ট্রেনের ভাড়া দিয়েছে৷ অন্য কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি৷ প্রতিদিন কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলি চালানোর জন্য ৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে রাজ্য সরকারের৷

রাজ্যে ফেরার পর কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে পরিযায়ীদের? কী কী নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য সরকার? দেখে নেওয়া যাক৷ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী সহ সকল ভ্রমণার্থী এবং পড়ুয়ারা রাজ্য ফেরার পর তাঁদের নিজ নিজ জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷ সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন৷ এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশসক৷ জেলায় ঢোকার পরই তাঁদের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হবে৷ করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু থেকে আসা ব্যক্তিদের উপর বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে৷ এই পাঁচ রাজ্য ছাড়া অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের মেডিক্যাল স্ক্রিনিংয়ের পর ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে৷

দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু থেকে যে সকল পরিযায়ীরা ফিরেছেন, তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিনে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন থাকতে হবে৷ কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজন তাঁদের জন্য খাবার আনতে পারবেন৷ তবে সরাসরি তাঁদের সঙ্গে দেখা করা যাবে না৷ পরিবারের তরফে খাবার না আসলে কোয়ারেন্টিনের সদস্যদের জন্য খাবার বন্দোবস্ত করবে জেলা প্রশাসন৷

কোয়ারেন্টিনে স্যানিটাইজ এবং স্বাস্থ্য বিধি বাজার রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইনচার্জের উপর৷ কোয়ারেন্টিনে সামাজিক দূরত্ব মানা বাধ্যতামূলক৷  করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তবেই সোয়াব টেস্ট করা হবে৷ উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড-১৯ হেলথ ম্যানেজমেন্টের গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা করা হবে৷ প্রয়োজনে আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনে কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের মেডিক্যাল টেস্ট করা হবে৷

যাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন, তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইনও ছকে দেবে জেলা প্রশাসন৷ নিয়ম লঙ্ঘন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ‘সন্ধান’ অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে৷ ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিন এবং হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় নিয়মিত নজরদারি চালাবে জেলা প্রশাসন৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *