স্থায়ীকরণ, বকেয়া বেতন মেটাতে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি গেস্ট লেকচারারদের

স্থায়ীকরণ, বকেয়া বেতন মেটাতে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি গেস্ট লেকচারারদের

 

কলকাতা: প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিটিআই) এবং ডিট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিআইইটি)-এর গেস্ট লেকচারদের স্থায়ীকরণ, নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো গঠন এবং লকডাউনের বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে৷ এই দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি জমা দিলেন অল বেঙ্গল গভর্নমেন্ট ডিআইইটি এবং গভর্নমেন্ট পিটিটিআই গেস্ট লেকচারার মঞ্চের প্রতিনিধিরা৷ 

সম্প্রতি, মঞ্চের তরফে বিকাশ ভবনে শিক্ষা মন্ত্রীর দফতরে ডিআইইটি এবং পিটিটিআই গেস্ট লেকচারারদের লকডাউনের বকেয়া বেতন মেটানোর পাশাপাশি তাঁদের আর্থিক সঙ্কটের দিকটি বিবেচনা করে ডিগ্রি কলেজ এবং বিএড কলেজের গেস্ট লেকচারারদের মত তাঁদরেও স্থায়ীকরণ এবং স্টেট এডেড টিচার বা বিকল্প কোনও সরকারি উদ্যোগের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ মোট পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে৷ এই স্মারকলিপির একটি কপি মুখ্যমন্ত্রীকেও ই-মেল মারফত পাঠানো হয়েছে৷ 

গভর্নমেন্ট পিটিটিআই এবং গভর্নমেন্ট ডিআইইটি-র লেকচারাররা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২০০ জন গেস্ট লেকচারার আছেন৷ বর্তমানে গভর্নমেন্ট পিটিটিআই-এর গেস্ট লেকচারাররা ক্লাস পিছু ২০০ টাকা এবং ডিআইইটি-র গেস্ট লেকচারাররা ক্লাস কিছু ৪০০ টাকা পান৷ এই হিসাবে মাস গেলে খুবই কম পারিশ্রমিক তাঁদের হাতে আসে৷ কিন্তু সেটাও অনিয়মিত৷ এই টাকা পাওয়ার জন্য একেক সময় তিন-চার মাসও অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের৷ ছুটির মাসগুলিতে উপার্জন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে৷ এই পরিস্থিতিতে একটি সুনির্দিষ্ট বেতন পরিকাঠামো তৈরির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ 

তাঁদের বক্তব্য, সরকারি সুযোগ সুবিধা না পেলেও, স্থায়ী লেকচারারদের মতোই সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে হয় তাঁদেরও৷ এই বিষয়টি বিবেচনা করে গেস্ট লেকচারারদের ইপিএফ এবং স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় আনার অনুরোধও জানিয়েছেন তাঁরা৷ 

গেস্ট লেকচারাররা জানিয়েছেন, লকডাউনে কলেজ বন্ধ থাকায়, তাঁদের উপার্জনও সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর আবেদন সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি৷ ফলে প্রচণ্ড আর্থিক সংকটে পড়েছেন তাঁরা৷ তাঁদের এই পরিস্থিতি বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন এই গেস্ট লেকচারাররা৷ তাঁরা আশাবাদী, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের এই মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 17 =