বালুরঘাট: প্রতিবছরই বন্যার জলে ভেসে যায় বাড়ি। বালুরঘাট শহরের মধ্যে দিয়ে বযে যাওয়া আত্রেয়ী নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত হন শহরের মানুষ। শহরের অন্যান্য এলাকার মত বাড়িতে জল ঢুকে সমস্যায় পড়েন বালুরঘাটের এ কে গোপালন কলোনির বাসিন্দারা। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি বেশ জটিল। কয়েকদিন আগেই এবারও আত্রেয়ীর জলে বানভাসি হয় এলাকা। ঘরবাড়ি ছেড়ে কেউ বা রাস্তার উপরে কেউ বা অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
জল সরে যেতেই আসল সমস্যা সামনে আসে। শুরু হয়ে যায় ভাঙ্গন। তবে এ ভাঙ্গন বাঁধের ভাঙ্গন নয়। কলোনির বাড়ি ঘরে ভাঙ্গন দেখা দেয়। খাঁড়িতে বাঁধ না থাকায় এলাকার বাড়িগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কোন বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে আবার কোথাও আস্ত ঘর-বারান্দাই ভেঙে গেছে। অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারগুলি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুহূর্তে ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শহরের মধ্যেই দিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ীকে বাগে আনতে দীর্ঘদিন ধরে খাঁড়িতে বাঁধ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন এলাকার মানুষ। বাঁধ না থাকার জন্যই প্রতিবছর বন্যা পরিস্থিতির কবলে যেমন পড়তে হচ্ছে। তেমনি ক্ষতিরও সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক শঙ্কর চক্রবর্তী।
ঘটনার খবর পেয়ে দুর্গত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাথে দেখা করতে এ কে গোপালন কলোনিতে যান বিজেপির সাংসদ ড: সুকান্ত মজুমদার। কলোনির মানুষের জন্য খাঁড়িতে বাঁধ এবং ভেঙে ঘরবাড়ি ঠিক করে তাদের পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়েছেন সাংসদ। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনের পথে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। আগামী পুরসভা নির্বাচনে এই বিষয়টিই যে প্রধান ইস্যু হতে চলেছে তাও জানিয়েছেন তিনি।
একেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফিবছর ঘরছাড়া, তার ওপর এই ঘরবাড়ি ভাঙনের ঘটনায় একেবারে পথে বসেছেন এ কে গোপালন কলোনির মানুষ। শাসক বিরোধীদলের তরজার মধ্যেই নিজেদের মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকু নিশ্চিত হওয়ার চিন্তাতেই দিন কাটছে তাদের।