কলকাতা: কলেজে যিনি নিচু পদের কর্মী, তিনিই ভোটের দিনে প্রফেসরদের মাথার উপর ছড়ি ঘোরাবেন। এমনই অভিযোগ একের পর এক আসছে রাজ্যের শীর্ষ আদালতে। প্রথমে এমন অভিযোগ হাজির হয়েছিল জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। এবার কলকাতা হাইকোর্টেও একগুচ্ছ এমন অভিযোগ এল। যা দেখে বিস্মিত আদালত নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে বলেছেন, এসব কী হচ্ছে! বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। এমনটা করা যায় না।
কেন এমন অভিমত দিল হাইকোর্ট? তার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মামলাকারীদের আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায় জানান, এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ইত্যাদির শিক্ষকদের ভোটে কেমন ডিউটি দিতে হবে, তার নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া রয়েছে। কিন্তু, প্রথম এর অন্যথা নজরে আসে উত্তরবঙ্গে। ১১ এপ্রিল সেখানে ভোট ছিল। তার আগে বেশ কিছু কলেজের প্রফেসর, অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যাসোসিয়েট প্রফেসররা লক্ষ্য করেন, ভোটের ডিউটিতে তাঁদের কাজ করতে হবে তাঁদেরই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অধস্তন, এমনকী গ্রুপ-ডি স্তরের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে। অনেক ক্ষেত্রেই সিনিয়রিটি এবং বেতনহার অনুসরণ করার গাইডলাইন মানা হয়নি।