খেজুরি: বিয়ে করতে এসে পালিয়েও শেষ রক্ষা হল না। শ্রীঘরে কাটাতো হল সদ্য বিবাহিত পাত্রকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। নাবালিকা ও যুবতীদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী ও যুবশ্রী একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। রাজ্য সরকার প্রকল্পে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পরিবারের বিরুদ্ধে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ হানা দিল সেখানে৷ নাবালিকাকে বিয়ে করার অপরাধে গ্রেফতার হল বর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি বিধানসভা কার্তিকখালি গ্রামে। খেজুরি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম অঞ্জন মিরদা। তার বাড়ি শিল্পনগরী হলদিয়া এলাকায়। রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন নাকচ করে দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খেজুরি থানার কার্তিকা গ্রামের এক ১৭ বছরের নাবালিকার বিয়ে ঠিক করেছিল তার পরিবারের সদস্যরা। হলদিয়া থেকে পাত্র অঞ্জন মিত্রা মেয়ের বাড়িতে এসে হাজির হন। শুক্রবার গভীর রাতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে এমন গোপন খবর পান খেজুরি-২ ব্লকের বিডিও ত্রিভুবন নাথ। সেই মতন খেজুরি থানা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই নাবালিকার বাড়িতে ছুটে যান খেজুরি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ আসার খবর পেয়ে নাবালিকা পাত্রী তার পরিবারের সদস্য আত্মীয়-স্বজনরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। বিয়ের অনুষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যায় বর অঞ্জন মিরদা। এরপর বিডিও ত্রিভুবন নাথ খেজুরি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতেই হেঁড়িয়া থেকে বরকে গ্রেফতার করেন।
খেজুরি ২ ব্লকের বিডিও ত্রিভুবন নাথ বলেন, “নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে দ্রুত খেজুরি থানার পুলিশকে জানাই। পরে লিখিতভাবেও অভিযোগ জানিয়েছিলাম৷’’ খেজুরি থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ” বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে নাবালিকা বিয়ে করার অপরাধে বরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷’’