কলকাতা: বেলগাছিয়া বস্তি কলকাতার হটস্পট হয়ে উঠেছিল। ঘিঞ্জি ঘিঞ্জি বাড়ি, সামাজিক দুরত্ব মানার জন্য প্রতিকূল পরিবেশ করোনা সংক্রমনের জন্য আদর্শ। সেখান থেকেই করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এই খবর কলকাতা মানুষের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিল। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে বেলগাছিয়া বস্তি থেকে নতুন করে করোনা আক্রান্তের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এই বস্তিকে গ্রিন জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার এক সংবাদ সংস্থাকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পর্ষদের সদস্য স্বপন সমাদ্দার জানান, দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বস্তি। এখানে প্রায় তিন হাজার মানুষের বাস। ওই বস্তিতে করোনা সংক্রমণ রুখে গোটা শহর ও রাজ্যের কাছে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। এর জেরেই কনটেনমেন্ট জোন থেকে ওই এলাকার নাম তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, এপ্রিল মাসে ওই বস্তিতে ৭-৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু পাওয়া যায়। দুই জন মারা যান। কিন্তু তার পরে সুরক্ষা বিধি মেনে ওই বস্তি করোনা সংক্রমণ রুখে দিয়েছে। তাই সেখানে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে কোনও করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। এই বেলগাছিয়া মডেল তোপসিয়া বস্তিতে কাজে লাগানো হতে পারে বলে প্রশাসক মনে করছে।কিন্তু কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বেলগাছিয়ায়?
জানা গিয়েছে, ১৪ এপ্রিল বেলগাছিয়া বস্তিকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়। ব্যারিকেড দিয়ে বস্তিটিকে ঘিরে দেওয়া হয়। নজরদারির জন্য পুলিশ পিকেট বসানো হয়। বাসিন্দাদের সকলকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্থানীয় ক্লাব ও মসজিদের সদস্যরা এই বিষয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে বলে জানা গিয়েছে।এই বস্তিতে অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহ করা হতো। নিয়মিত জীবানুনাশক স্প্রে করা হতো। এই ধরনের পদক্ষেপের জেরেই দ্রুত স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।