সবুজ স্বপ্ন বুকে পথ হেঁটেছেন মাদার অফ ট্রিজ, পথ দেখাবে কলকাতাকে?

তিয়াষা গুপ্ত: সবুজ রকস্টার তিনি। সবুজ স্বপ্ন বুকে নিয়ে অনেকটা পথ হেঁটেছেন। সবুজ গড়তে ছেড়েছেন নিশ্চন্ত জীবন। ৭৫ বছরের তামিলনাড়ুর থাইয়াম্মালের পথ অনুসরণ করবে কলকাতা? কারণ শপথ গ্রহণ করেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহরকে গ্রিন সিটি করার বার্তা দিয়েছিলেন। থাইয়াম্মাল কলকাতা থেকে অনেক দূরে। কিন্তু কোথাও যেন মেয়রের সঙ্গে তাঁর ভাবনায় মিল। তাই আজ এই

সবুজ স্বপ্ন বুকে পথ হেঁটেছেন মাদার অফ ট্রিজ, পথ দেখাবে কলকাতাকে?

তিয়াষা গুপ্ত: সবুজ রকস্টার তিনি। সবুজ স্বপ্ন বুকে নিয়ে অনেকটা পথ হেঁটেছেন। সবুজ গড়তে ছেড়েছেন নিশ্চন্ত জীবন। ৭৫ বছরের তামিলনাড়ুর থাইয়াম্মালের পথ অনুসরণ করবে কলকাতা? কারণ শপথ গ্রহণ করেই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহরকে গ্রিন সিটি করার বার্তা দিয়েছিলেন। থাইয়াম্মাল কলকাতা থেকে অনেক দূরে। কিন্তু কোথাও যেন মেয়রের সঙ্গে তাঁর ভাবনায় মিল। তাই আজ এই সবুজ মানবীর কথা মনে করা প্রাসঙ্গিক।



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

মেয়র হওয়ার পর কলকাতাকে গ্রিন সিটি করার বার্তা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বলেছিলেন, গাছ লাগান। আরবান ফরেস্টি করলে ট্যাক্স মুকুব করা কথাও জানান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান মেনে কলকাতাকে ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি করাই লক্ষ্য মেয়রের। কলকাতাকে সবুজ শহর গড়তে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি তাঁর। এদিকে তামিলনাড়ুর থাইয়াম্মাল আম্মা পথ দেখিয়েছন সবুজের অভাবে বেহাল বিশ্বকে। কলকাতা তাঁর দেখানো পথে কতটা চলে সেটাই দেখার। কারণ তিনি সবুজের জন্য জীবনের অনেক কিছু ত্যাগ করেছেন। দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন।

সবুজ স্বপ্ন বুকে পথ হেঁটেছেন মাদার অফ ট্রিজ, পথ দেখাবে কলকাতাকে?আজ সবুজের অভাবে দূষণের বিষ বাষ্প সারা পৃথিবীকে গ্রাস করেছ। বিশ্বউষ্ণায়ণ সারা পৃথিবীর কাছে অশণিসঙ্কেত। তাই সবুজ বিশ্ব সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত। গ্রিন রকস্টার অবসরের পর অলস সময় কাটাননি। নিজেকে ডুবিয়ে দিয়েছেন সবুজ দেশ গড়তে। এখন সবাই তাঁকে চেনে মারানগালিন থায়ার অর্থাত্ মাদার অফ ট্রি নামে। তাঁর নিজের কথায়, `আমি চাকরি করার সময় থেকেই সবুজ নিয়ে কাজের কথা ভাবি। আমি ও আমার স্বামী এক টুকরো জমি কিনি। তাতে প্রথমে নারকেল চাষ শুরু করি। এখন অবসরের পর হাতে অনেক সময়। মাস গেলে পেনশনও পাই। সেই টাকা ব্যায় করি গাছের পেছনে।‘

সবুজ স্বপ্ন বুকে পথ হেঁটেছেন মাদার অফ ট্রিজ, পথ দেখাবে কলকাতাকে?সবুজের অভাবে গোটা পৃথিবী আজ বিপন্ন। এই অবস্থাতেও তাঁর গ্রামের মানুষ তাঁকে এই কাজে নিরুত্সাহ করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর জেদে অনড় থেকেছেন। চালিয়ে গেছেন বৃক্ষরোপণ। তাঁর স্বামী নারায়ণস্বামী তাঁর পাশে থেকেছন। প্রশ্রয় দিয়েছেন, উত্সাহ দিয়েছেন। তাই আজ সমাজের কাছে তিনি দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন।

সবুজের লক্ষ্যে তিনি একটি এনজিও গড়েছেন। কোনো ফায়াদার জন্য নয়। শুধু সবুজ গড়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করাই তাঁর লক্ষ্য। এনজিও গড়ে তিনি কাজের ধারাকে আরো অনেকটা পথ এগিয়ে দিয়েছেন।এই সবুজ মানবী সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। তাঁকে দেখে কি আমাদের সহনাগরিকরা কি প্রেরণা পাবেন? কলকাতার মেয়র তো গাছ লাগাতে উত্সাহ দিচ্ছেন। দেখা যাক কলকাতার ঘুম ভাঙে কিনা!

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/Aajbikal ও aajbikel.com-এ ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 2 =