ছিল না কাজ, রেশন! ধর্নায় বসা আদিবাসী মহিলারা পেলেন দু’মুঠো খাবার

ছিল না কাজ, রেশন! ধর্নায় বসা আদিবাসী মহিলারা পেলেন দু’মুঠো খাবার

0a2416479f4bb500bae7026cada5f167

চুঁচুড়া: বারবার আবেদন জানানোর পরও সরকারি সাহায্য মেলেনি৷ এই অভিযোগে মঙ্গলবার সারা বাংলা আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চের নেতৃত্বে ধরনায় বসেছিলেন হুগলীর জয়হরিপুর, কনুইবাঁকা এলাকার বেশ কিছু দিনমজুর৷ তাঁদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে বিডিও দফতরে চিঠিও পাঠানো হয়৷ করোনা পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ হওয়ায় এক প্রকার না খেয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা৷ রেশন কার্ড না থাকায় রেশনও জোটেনি তাঁদের কপালে৷ এই অবস্থায় তাঁদের পাশে দাঁড়ায় আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ৷ আদিবাসী সমাজের সমস্যার কথা গুরুত্ব দিয়ে তুলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজ বিকেল ডট কম৷ খবরটি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন৷ বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বেলমুড়ি পঞ্চায়েত প্রধান এসে দেখা করেন অবস্থানকারীদের সঙ্গে৷ সুমিত্রা মাহেলি ও চাঁপা মুদির পরিবারের হাতে ৫ কেজি করে চাল তুলে দেন তিনি৷ অন্যান্য পরিবারগুলিকেও সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন৷

লকডাউনের সরকারি ত্রাণের অভাবে অনাহারে দিন কাটাচ্ছিল হুগলীর ধনিয়াখালির কনুইবাঁকা এলাকায় বেশ এই দরিদ্র দিনমজুররা৷ গতকাল অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামের কয়েকটি আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা৷ যার মধ্যে ছিলেন সুমিত্রা মাহেলি এবং  চাঁপা মুদি৷ পরে তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন  মৃত্যুন শব্বর ও আরতি শব্বররাও৷ খবর প্রকাশিত হতেই প্রশাসনের টনক নড়ে৷ পঞ্চায়েত প্রধান দেখা করে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন ধনিয়াখালি থানার পুলিশ আধিকারিকরা৷ অর্থনৈতিক ভাবে  পিছিয়ে পড়া ১০ টি পরিবারের নামের তালিকা তৈরি করে নিয়ে যান তাঁরা৷  

দুপুর ১টা নাগাদ ধনিয়াখালি ব্লকের বিডিও নিজে ফুড ইনস্পেকটর ও রেশন ডিলারকে সঙ্গে  নিয়ে অকুস্থলে পৌঁছন৷ যে সকল পরিবারের রেশন কার্ড নেই, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়৷ খুব শীঘ্রই এই পরিবারগুলির হাতে সরকারের তরফে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি৷

এর আগে আদিবাসী অধিকার ও বিকাশ মঞ্চ এবং আরওয়াইএ’র পক্ষ থেকে ৪১টি দুঃস্থ পরিবারের নাম থানায় জমা দেওয়া হয়েছিল৷ এদিন বিকেলে প্রতিটি পরিবারের হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, এখানকার একটি পরিবারের মেয়ে পড়াশোনার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়িতে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু  লকডাউনের জেরে তিনি সেখানেই আটকে পড়েন৷ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আগেও বিডিও দফতরে আবেদনপত্র  জমা দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু কোনও রিসিভ কপি দেওয়া হয়নি। এদিন বিডিও নিজে সেই আবেদনপত্র নিয়ে গিয়েছেন৷  দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন৷ মঞ্চের সদস্য সজল দে বলেন, ‘‘আমরা খুশি, প্রশাসনকে ধন্যবাদ৷ প্রশাসনের উদ্যোগে আজ দু’মুঠো খাবার পেলেন জয়হরিপুর, কনুইবাঁকা এলাকার বাসিন্দারা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *