‘অপশাসন দেখলে চুপ থাকতে পারি না’ কল্যাণকে পাল্টা জবাব রাজ্যপালের

‘অপশাসন দেখলে চুপ থাকতে পারি না’ কল্যাণকে পাল্টা জবাব রাজ্যপালের

কলকাতা: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতে নয়া মোড় নিল৷ চড়ছে রাজনৈতিক তরজা৷ কল্যাণের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্যপাল৷ 

আরও পড়ুন- বিগত বছরে এত ব্যাপক সাড়া কোনও ধর্মঘটে পাওয়া যায়নি: সেলিম

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিশানা করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অপরাধীদের সঙ্গে রাজ্যপালের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে সুর চড়ালেন তিনি৷ তাঁর দাবি, দুর্নীতির ও পাচার চক্রে জড়িত গোবিন্দ আগরওয়াল এবং সুদীপ্ত রায় চৌধুরীর মতো অভিযুক্তের হয়ে সওয়াল করছেন রাজ্যপাল৷ তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন৷  টুইট করে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তদন্তে বাধাদান করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এমনকী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার দাবিও জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ইডি’র কথাতেই এই তদন্ত হচ্ছে৷ অথচ এখন পুলিশকে নিষ্ক্রীয় করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল৷ তিনি বলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ১৮৬ এবং ১৮৯ ধারায় তাঁর  মামলা করুক পুলিশ৷ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরই পাল্টা জবাব দেন জগদীপ ধনকড়৷ 

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে  রাজভবন থেকে মোট ১৩ টি পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে৷ রাজ্যপালের কথায়, ‘‘আমি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ৷ অপশাসন দেখলে আমি চুপ থাকতে পারি না৷’’ তিনি বলেন, রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হচ্ছে৷ রাজ্যে আইনের শাসন নেই৷ সরকার সংবিধান মেনে চলছে না৷ রাজ্যে একের পর এক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা দেখেও প্রশাসন নিশ্চুপ হয়ে বসে রয়েছে৷ আমলারা রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন৷ যা দেখার পর তাঁর পক্ষে চুপ থাকা সম্ভব নয়৷ 

আরও পড়ুন- ‘সার্বজনীন’ হল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প! নবান্নে ঘোষণা মমতার

রাজ্যপাল আরও বলেন, কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না৷ রাজ্য প্রশাসন সংবিধান মেনে চলছে না৷ রাজ্যপালের বিবৃতিতে বেশ কিছু আমলার নামও উল্লেখ করা হয়েছে৷ কেন তিনি এধরনের মন্তব্য করেছেন তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে৷ এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিলেও, তাঁর বিরুদ্ধে যে মন্তব্য উঠে এসেছে তার কড়া জবাব দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়৷  একাধিক ইস্যুতে রাজ্যকে খোঁচাও দিয়েছেন তিনি৷ 

এদিকে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বলেন, ইট পাটকেল ছুড়ে, কালো পতাকা দেখিয়ে রাজ্যপালের গাড়ি আটকে কী বিপ্লব করা হচ্ছে? বাংলার মানুষ এই সব অন্যায় মেনে নেবে না৷  অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ক্ষমতায় থাকার সময় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায় না৷ তাঁর সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে৷ ৩৬১ (২) নম্বর ধারায় সে কথা স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *