রাজ্যপালের অভিযোগ ‘অসত্য’, ‘মনগড়া’, ধনকড়ের চিঠির পাল্টা জবাব রাজ্যের

রাজ্যপালের অভিযোগ ‘অসত্য’, ‘মনগড়া’, ধনকড়ের চিঠির পাল্টা জবাব রাজ্যের

কলকাতা: এবার শুরু পত্র-যুদ্ধ৷ এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে একের পর এক টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তাতে কার্যত কোনও উত্তর পাননি তিনি৷ এর পরেই রাজ্য-রাজ্যপাল তরজায় ঘৃতাহুতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান রাজ্যপাল৷ ওই চিঠির পাল্টা জবাব দিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর৷ যেখানে রাজ্যপালের দাবি অসত্য বলে দাবি করা হল৷ তিনি মনগড়া কথা বলছেন বলে জানিয়ে দিল স্বারাষ্ট্র দফতর৷ 

আরও পড়ুন- ‘কনটেনমেন্ট’ নিয়ে নয়া ঘোষণা! আগামীকাল শুরু হচ্ছে মেট্রোও

মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে পর পর পাঁচটি টুইট করা হয়৷ যেখানে বলা হয়, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে যে সকল অভিযোগ করেছেন তার সঙ্গে সত্যের কোনও মিল নেই৷ প্রশাসনিক চিঠিকে রাজ্যপাল যে ভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন তা হতাশাজনক৷ প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের এই সংঘাত নতুন নয়৷ তৃতীয়বার সরকার গঠনের পরেও সেই সংঘাত অব্যাহত৷ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল৷ সোমবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজভবনে এ বিষয়ে বৈঠকও করেন তিনি৷ আর তার পরের দিনই দিল্লি রওনা দেন ধনকড়৷ যদিও তাঁর আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্য৷  বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই পাল্টা দাবি৷   

রাজ্যপালের কথায়, বাংলায় জায়গায় জায়গায় রক্ত ঝরেছে, নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে, অথচ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি চুপ করে রয়েছেন। এই ঘটনা স্বাধীনতার পর গণতন্ত্রের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হিসেবে মন্তব্য তাঁর। চিঠিতেও রাজ্যপাল লেখেন, ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করতে তিনি যখন কোচবিহার, নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন, তখন পীড়িত রাজ্যবাসীর কথা শুনে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান।

এদিন স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে বলা হয়, যে সময় রাজ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল, সেই সময় আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন৷ নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক৷ যথাযথ পদক্ষেপ করেছে পুলিশ-প্রশাসন৷ রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানানো হয়েছে৷ 
 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 18 =