আর নয় টুইট, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল

আর নয় টুইট, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল

কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য জুড়ে প্রবল হিংসা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। কর্মী এবং সমর্থকদের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু সমর্থক ঘরছাড়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে তাদের তরফে। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত বলেও দাবি তুলেছে বিজেপি। এই ইস্যুতে কার্যত তাদের সুরে সুর মিলিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। একের পর এক টুইট করে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন তিনি। তবে এবার আর টুইট নয়, চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

এদিন চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানান, বিধানসভা নির্বাচনের পরের বাংলাজুড়ে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে তিনি চুপ করে রয়েছেন এটা দেখে তাঁর খারাপ লেগেছে। রাজ্যপালের কথায়, বাংলায় জায়গায় জায়গায় রক্তপাত ঘটেছে, নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি চুপ করে রয়েছেন। এদিকে এই ঘটনাকে রাজ্যপাল স্বাধীনতার পর গণতন্ত্রের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হিসেবে মন্তব্য করেছেন। চিঠিতে রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করতে তিনি কোচবিহার, নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন এবং অসম গিয়েছিলেন। সেখানে পীড়িত রাজ্যবাসীর কথা শুনে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। সেখানে একের পর এক খুন এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে, একই সঙ্গে সম্পত্তি ধ্বংসের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান তিনি। এই ধরনের সমস্ত ঘটনা গণতন্ত্রের বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি এও প্রশ্ন তুলেছেন যে, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার পর সাধারণ মানুষের ওপর এই রকম অত্যাচার কী করে করা সম্ভব।

এর পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেফতার হবার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ৬ ঘণ্টা সিবিআই দফতরে ছিলেন সেই ইস্যু তুলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যপাল। তাঁর বক্তব্য, সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা করেছেন সেটা অসাংবিধানিক। অন্যদিকে ইয়ার্স ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য করা উচিত ছিল বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। সব মিলিয়ে সংবিধান মেনে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সব রকম চেষ্টা করবে সরকার এমন আশা রেখেছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − five =