কলকাতা: চরমে রাজ্য সরকার ও রজ্যপালের রাজনৈতিক তরজা৷ গতকাল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে অপরাধী যোগের অভিযোগ তুলে ফৌজদারি মামলা করার দাবি তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিকেলে তার পাল্টা জবাব দেন রাজ্যপাল৷ এদিন ফের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংকে নিয়ে রাজ্যকে একহাত নিলেন জগদীপ ধনকড়৷ টুইট করে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করেছে৷ যা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক৷
আরও পড়ুন- ‘দিদিমণির ঘর ভাঙছে, দেখ কেমন লাগে’, শুভেন্দুর ইস্তফার পরই কটাক্ষ দিলীপের
শুক্রবার আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে রাজ্যপালের টুইট, প্রশাসনিক আধিকারিকদের দলীয় কর্মী করে তোলা হয়েছে৷ বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন৷ এর বিরুদ্ধে সকল নাগরিককে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান রাজ্যপাল৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘সংবিধান মেনেই আমি কাজ করছি৷ রাজ্যে পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে৷ প্রশাসনকে দিয়ে রাজনৈতিক অভিসন্ধি পূরণ করা হচ্ছে৷ যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আইপিএস অফিসার এডিজি আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা অফিসার৷’’
এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইট করে আরও বলেন, এডিজি জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তিতে আদালত জানিয়েছিল, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন৷ এর পরেও রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি৷ ক্ষমতার অপব্যবহার করেও জ্ঞানবন্ত কী ভাবে পদ পেলেন, চিঠি লিখে সেই প্রশ্নও তোলেন রাজ্যপাল৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার তাঁর সম্পর্কে তথ্য দিতে নারাজ৷ আবারও তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাইছি৷’’ এদিন অপর একটি টুইটে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি৷
আরও পড়ুন- শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও দলেই আছেন! এখনও আশাবাদী সৌগত রায়
গতকাল রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, অপরাধীদের সঙ্গে রাজ্যপালের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে৷ অপরাধীদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বলেই তাদের গ্রেফতার করার প্রতিবাদে টুইট করছেন তিনি৷ শুধু তাই নয় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার দাবিও তোলেন তৃণমূল সাংসদ৷