কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের তরজা অব্যাহত। করোনা পরিস্থিতির জেরে নির্বাচন সম্ভব না হওয়ায় পুরসভার প্রশাসক হিসেবে রাজ্য সরকার নিয়োগ করেছে ফিরহাদ হাকিমকে। সেই বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে কেন জানাল হল না, এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও কোনও জবাব পাননি রাজ্যপাল। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সংবিধান-বিরোধী আচরণের অভিযোগ তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। চিঠিতে উল্লেখ করলেন সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারাও।
চলতি মাসের ৭ তারিখেই মেয়াদ শেষ হয়েছে পুরবোর্ডের। করোনা সঙ্কটের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এই মর্মে রাজ্য সরকার ফিরহাদ হাকিমকেই প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করেছে। এই বিষয়ে জানতে চেয়ে ৭ মে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। তারও জবাব না পাওয়ায় রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্ব পালন করছেন না মুখ্যমন্ত্রী, এই অভিযোগ জানিয়ে ফের চিঠি লিখলেন তিনি। চিঠিতে তিনি বলেছেন, 'পুরবোর্ডের প্রশাসক সম্পর্কে মুখ্য সচিবের কাছে তথ্য চেয়েছিলাম। তিনি তা না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখি। তিনিও কোনও জবাব দেননি।'
সংবিধানের ১৬৭ ধারার উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেকোনও রাজ্যে রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই আচরণ তিনি পাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। চিঠিতে তিনি এই প্রসঙ্গে আরও লেখেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সংবিধানকে অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করতে আপনি যেমন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, রাজ্যপাল হিসেবে সংবিধান বিধি রক্ষা করাও আমার দায়িত্ব। পুরসভার বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে যে তথ্য আমি জানতে চেয়েছি, তা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৬৭-এর অন্তর্ভুক্ত।'
Invoked article 167 of constitution to seek information
from West Bengal CM Mamata Banerjee regarding Kolkata Municipal Corporation notification of May 6. This after Chief Secretary failed to provide information. Am sure CM will follow constitution: Governor West Bengal pic.twitter.com/Q03Mxd8YIq— ANI (@ANI) May 14, 2020