রাজ্যপালের ‘মস্তিষ্কে’র সুস্থতা কামনা অপরূপার! ‘আপনার মস্তিষ্ককে কোয়ারেন্টিন করে দিন’

রাজ্যপালের ‘মস্তিষ্কে’র সুস্থতা কামনা অপরূপার! ‘আপনার মস্তিষ্ককে কোয়ারেন্টিন করে দিন’

কলকাতা: আরও বাড়ল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত৷ রাজ্যপালের জোড়া চিঠির জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যপালের ২০টি অভিযোগ উদ্ধৃত করে কড়া জবাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যপালও৷ রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহে এবার টুইট যুদ্ধে নামলেন তৃণমূলের দুই সাংবাদ৷ রাজ্যপালের মাস্তিষ্কের সুস্থতা কামনা করা থেকে মাস্ক পরে বাড়িতে বসে থাকারও বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার৷

রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রিয় রাজ্যপাল মহাশয়, আমরা বাংলার মানুষ চাইছি, আপনি ৭০ বছর বয়সে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন৷ কিন্তু দিনের পর দিন আপনি ঠিক যেভাবে অবসর জীবনে শিশুসুলভ আচরণ করে চলেছেন ও বিজেপির গেরুয় ধ্বজা নিয়ে ছোটাছুটি করছেন, মার্গ দর্শকের ভূমিকায়, তা আমরা বুঝে গিয়েছি৷ বিজেপি দলেও আজ আপনার মতো বয়স্ক নেতার আর কোন স্থান নেই৷ সেটা জেনেও আপনার মস্তিষ্কের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে পশ্চিমবাংলার আপামর মানুষ৷ আপনি নিজেই আপনার মস্তিষ্ককে কোয়ারেন্টিন করে দিন৷ আপনার কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন, আপনি বাংলার আকাশ আর দূষিত করবেন না৷ বাংলার জল, মাটি, মানুষ সর্বোপরি বাংলার মাকে আপনার থেকে মুক্তি দিন৷ যাতে বাংলার মানুষ আপনাকে ক্ষমা করে৷’’

গত সন্ধ্যায় পাঠানো চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানন, রাজ্যপালের ভাষা অপমানজনক নজিরবিহীন৷ স্বাধীন ভারতে কোন রাজ্যপাল এমনটা কখনও করেনি৷ দেশের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি নিম্নমানের ভাষা প্রয়োগের নজির নেই৷ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় উল্লেখ করে রাজ্যপালকে পত্রাঘাত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাজ্যপালের সীমাবদ্ধতার কথা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সরকারের কাজ সহমত নাহলে আমাকে জানান৷ মন্ত্রী-আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে প্রকাশ্যে আনছেন কেন? রাজ্যপালের জোড়া চিঠির উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গণতন্ত্রে সমস্ত ক্ষমতার উৎস সাধারণ মানুষ৷ সব জনপ্রতিনিধির দায়বদ্ধতা ও একাধিক কাজ থাকে৷ যার সঙ্গে মনোনীত সদস্যদের কোনও মিল নেই৷ নিয়মিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার তৈরি হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে৷ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রধান৷ রাজ্যপালের প্রশাসনিক ভূমিকা পালনের চেষ্টা অভিপ্রেত নয়৷ এভাবেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷