কলকাতা: রাজ্য সরকারকে সমালোচনা করে একাধিক বার সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ এবার মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ নীতি নিয়ে সুর চড়ালেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান৷ সোমবার টুইটারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশকে ‘রাজনৈতিক’ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যপাল৷
টুইটারে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকারের তরফে পুলিশ আধিকারিকদের অবসরের পর গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে৷ তাঁর এই টুইটকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে সমালোচনা৷এদিন রাজভবনে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে যান বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান৷ রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ বিরোধী দলনেতার আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যপালের কাছে জানান, এইভাবে চললে বিধানসভা নির্বাচনে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ সম্ভব নয়। বিরোধী দলগুলি একাধিকবার রাজ্যের অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। কখনও রাজ্যপাল, কখনও আবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা৷ এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা৷
রবিবার টুইটে রাজ্যপাল লিখেন, রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখার জন্য IPS আধিকারিকদের বসিয়ে রেখে অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিয়োগ করা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে ১৯৮৫ ব্যাচের আইপিএসরা বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছেন৷ এই প্রবণতা গণতন্ত্রের কাছে চ্যালেঞ্জ বলেও টুইট করেন রাজ্যপাল৷ ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএসের নাম ও পদমর্যাদার তালাকা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল৷ তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উপদেষ্ঠা রীনা মিত্র প্রমুখ৷
গত সপ্তাহ থেকে নতুন করে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সঙ্গে সংঘাত কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে৷ ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে শিরাকোল এলাকায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি আক্রান্ত হন দিন থেকেই সপ্তমে সংঘাত৷ সেদিনই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিজিপি বীরেন্দ্রকে ডেকে পাঠিয়ে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল৷ সেই ঘটনার কঠোর সমালোচনা করে তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি৷ তার পরদিনই মুখ্যসচিব এবং ডিজিপিকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে৷ দেওয়া হয় পাল্টা চিঠি৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যপালের দ্বারস্থ কংগ্রেস৷ আর তার পরপর রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে টুইট করলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়৷