রাজ্যে ‘পরিবর্তন’ চাইলেন রাজ্যপালও! মন্তব্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

রাজ্যে ‘পরিবর্তন’ চাইলেন রাজ্যপালও! মন্তব্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

befcd3e75b18420a6839972544659ab1

বোলপুর: পশ্চিমবঙ্গে মা-মাটি-মানুষ সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিনাশ ঘটানোই একমাত্র লক্ষ্য বিজেপির। এক্ষেত্রে তারা দিয়েছে পরিবর্তনের ডাক। এই প্রেক্ষিতে রথ যাত্রার নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ‘পরিবর্তন যাত্রা’। রাজ্য সহ দেশের রাজনৈতিক মহলও তাকিয়ে যে বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন হয় না প্রত্যাবর্তন।  এই আবহে এবার কার্যত বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি বললেন, রাজ্যে পরিবর্তন আসা উচিত! রাজ্যপালের এই মন্তব্যে কোন রাজনৈতিক ইঙ্গিত রয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় কিন্তু এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তার নিরপেক্ষতা নিয়ে।

এদিন বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে অবশ্যই পরিবর্তন আসা উচিত। এক কথায় যে পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে তার পরিবর্তন চেয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে তাঁর সঙ্গে বিজেপির মতের মিল খুঁজে পেয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাই ফের একবার রাজ্যপালের গেরুয়া বাহিনী প্রতি ঝুঁকে থাকার অভিযোগ উঠছে। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আদতে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলেছেন কিনা সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। মূলত স্বাধীনতার সময়ের কথা বলে তিনি বলেছেন, যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন পশ্চিমবঙ্গ যেখানে ছিল আজ সেখানে নেই। ধীরে ধীরে নিচে নেমেছে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে রাজ্যে পরিবর্তন আসা উচিত। এক্ষেত্রে তিনি সরাসরি বিজেপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রসঙ্গে মন্তব্য না করলেও তাঁর কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে যে, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই সন্তোষজনক মনে করছেন না তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই দিচ্ছেন ‘পরিবর্তনের’ ডাক। 

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু মৌখিক অভিযোগ বা বিরোধিতা নয়, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। এখন ভোট মুখী বাংলায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব যেন আরও বেড়ে চলেছে। এবার পরিবর্তন প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য আবারো নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করলো। ফাইল ছবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *