কোলাঘাট: বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গে বহিরাগত ইস্যুতে আরো বেশি করে বিতর্ক এবং জল্পনা সৃষ্টি হচ্ছে। একাধিকবার এনামুল কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকেকেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে আক্রমণ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, যারা রাজ্যে আসছেন তারা কেউ বাংলা এবং বাঙালি সম্পর্কে জানেন না, তাই তারা এই রাজ্যের মানুষের কাছে বহিরাগত। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই পাল্টা আক্রমণ করা হয়েছে বহুবার। এবার একবার ফের এই ইস্যু নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা শুরু করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কোলাঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন তিনি।
এদিন রাজ্যপাল বলেন, বাইরের রাজ্য থেকে কেউ পশ্চিমবাংলায় আসলে তাকে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারতের মধ্যে কেউ বহিরাগত নয়। এমন ভাবা সংবিধানের মূল ধারণা কুঠারাঘাত করা বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সংবিধানের বিপরীত ভাবনার কোনও কাজ করা উচিত নয়। একইসঙ্গে আমফান প্রসঙ্গ তুলে রাজ্য প্রশাসনের চূড়ান্ত সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। আগে থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল তা সত্ত্বেও কাজ করা হয়নি। কেন করা হয়নি সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর যে আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হয়েছিল সেখানে দুর্নীতি হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এও অভিযোগ তুলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলার বরাদ্দেও দুর্নীতি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না একদম।
এদিন রাজ্যের পুলিশও নিশানায় ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। তিনি বলেন, রাজ্যের পুলিশের উচিত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা। কিন্তু এই রাজ্যে পুলিশ রাজনৈতিক দল দাসে পরিণত হয়েছে। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে সামনের সারি থেকে কাজ করছেন তারা, এমনই অভিযোগ তোলেন তিনি। একইসঙ্গে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও এদিন তোপ দাগেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচন যেন একেবারে নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ করা যায় সেই ব্যাপারে নজর দেওয়ার কথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।