যা ভেবেছিলেন, তার থেকেও বেশি ভয়ানক পরিস্থিতি রাজ্যের! দাবি ধনকড়ের

যা ভেবেছিলেন, তার থেকেও বেশি ভয়ানক পরিস্থিতি রাজ্যের! দাবি ধনকড়ের

কোচবিহার: নির্ধারিত সূচি মেনে এদিন কোচবিহার সফরে দিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যদিও তিনি কোচবিহারের সফরে যাবেন জানতে পেরে চিঠি দিয়ে রাজ্যপালকে প্রোটোকলের কথা মনে করান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কোচবিহার থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন। তিনি বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এইভাবে কেউ দেশের সংবিধান অমান্য করতে পারে তিনি ভাবতেই পারেননি।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জানেন, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পর তিনি তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি যেটা বলছেন সেটা অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক। এদিন তিনি আরও বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে এটা তিনি আগে থেকেই জানতেন এবং সেই ধরনের খবর পাচ্ছিলেন ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার সময়। কিন্তু কোচবিহারে এসে তাঁর মনে হয়েছে তিনি ভুল ছিলেন। রাজ্যপালের কথায়, তিনি যা ভেবেছিলেন তার থেকে আরো ভয়ানক অবস্থায় রয়েছে রাজ্য। আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এদিন আবার কোচবিহার সফরে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে শুনতে হয় গো ব্যাক স্লোগান। ‌ পরবর্তী ক্ষেত্রে দিনহাটা থানার আইসিকে প্রবল ভর্ৎসনা করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। এর পরে অবশ্য বিক্ষোভকারীদের লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়। 

বিক্ষোভের প্রেক্ষিতেই দিনহাটা থানার আইসিকে রাজ্যপাল প্রকাশ্যে ধমক দিয়ে বলেন, তিনি একজন প্রশাসনিক পদে রয়েছেন, তাঁর সফরের মাঝে এই ধরনের বিক্ষোভ কী করে হচ্ছে, প্রশ্ন করেন তিনি। এদিন তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে না হলে রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে এই ধরনের বিক্ষোভ হয় না। সাধারণ লোকের চোখে তিনি ভয় লক্ষ্য করতে পেরেছেন বলেও দাবি করেছেন রাজ্যপাল। এটাও জানিয়েছেন যে সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে যেতে ভয় পায়, এখানে বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, জিনিসপত্র লুট করা হচ্ছে কিন্তু কেউ কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না কারণ তারা ভীত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + two =