হাওড়া-বালি সংক্রান্ত বিলে সই করেননি! রাজ্যের চাপ বাড়ালেন রাজ্যপাল

হাওড়া-বালি সংক্রান্ত বিলে সই করেননি! রাজ্যের চাপ বাড়ালেন রাজ্যপাল

befcd3e75b18420a6839972544659ab1

কলকাতা: হাওড়া এবং বালির পুরসভার ভোট কবে হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না এখনও। এরই মধ্যে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপাল হাওড়া-বালি সংক্রান্ত বিলে সই করেছেন। কিন্তু আজ সকালেই সেই দাবি নস্যাত করে দিয়েছেন খোদ রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই রকম কোনও বিলে তিনি সই করেননি। এই নিয়ে আবার বিজেপি রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে নতুন করে। তাদের বক্তব্য, এখন বাংলার সরকার আদালতকেও বিভ্রান্ত করছে।

গতকাল এই খবর মিডিয়াতে ছেয়ে যায় যে রাজ্যপাল হাওড়া-বালি পুরভোট সংক্রান্ত বিলে সই করেছেন। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নিজেই জানিয়েছেন, ”সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনখড় হাওড়া মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু তা ঠিক নয়। এটি সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের অধীনে বিবেচনাধীন রয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর আশা করা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যপাল এমন কোনও বিলে সই করেননি।

উল্লেখ্য, প্রথম দফায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া পুরসভা এবং বালি পুরসভার সংযুক্তিকরণ করেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি এবং ক্ষোভ জমতে থাকে বালির বাসিন্দাদের মধ্যে। শেষ লোকসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়েছিল কারণ সেখানে অধিকাংশ ওয়ার্ডে হেরে গেছিল শাসক শিবির। হাওড়া পুরসভার সঙ্গে বালিকে যুক্ত করার পরে বালি পুরভবনে একটি দপ্তর স্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু সেখানে কোনও চেয়ারম্যান ছিলেন না। তাই কাজে ব্যাঘাত হচ্ছিল বৈকি, সেই নিয়ে আবার স্থানীয় বাসিন্দাদের বিস্তর অভিযোগ ছিল। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে পুনরায় হাওড়া থেকে বালিকে আলাদা করে দেওয়ার ভাবনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *