কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আজ রাতে দিল্লি যাচ্ছেন। আগামীকাল সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে তিনি এক দফায় বৈঠক করবেন বলে রাজভবন সূত্রে জানা গেছে।সূত্রের খবর, আজ রাতে বিশেষ বিমানে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। কাল দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা।জানা গিয়েছে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। ইতিমধ্যেই একাধিকবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন তিনি। এবার সরাসরি দিল্লি যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে।
এর আগে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের পুলিশকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মন্তব্য করেছেন, রাজ্যের পুলিশের উচিত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা। কিন্তু এই রাজ্যে পুলিশ রাজনৈতিক দল দাসে পরিণত হয়েছে। নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে সামনের সারি থেকে কাজ করছেন তারা। এছাড়াও, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সুরজিত কর পুরকায়েস্তের নাম নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পোস্টিং, ট্রানস্ফার এবং তদন্তের বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনা অবশ্যই গণতন্ত্রকে হত্যা করে। এই ধরনের ঘটনা পুলিশের নিয়ম এবং সংবিধানকে ব্যাহত করে, খণ্ডন করে। এর অবশ্য পাল্টা দেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি টুইট করে বলেন, ‘আপনি শুধুমাত্র আপনার প্রভুর হয়ে কথা বলেন! আপনি যে পদে রয়েছেন সেই পদ আপনার জন্য অপমানিত। রাজনৈতিক প্রভুদের কথায় বাংলাকে অপমান করছেন, এদিকে বাংলার আতিথেয়তা পেয়ে বাংলাতেই থাকছেন। আপনার লজ্জা হওয়া উচিত’। পরবর্তী ক্ষেত্রে পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল পদ থেকে তাঁর অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে স্মারকলিপি দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা! তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় সহ এই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
উল্লেখ্য, আর কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বারংবার বাংলার আইন, পুলিশ এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কথাতেও বাংলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নচিনহ রয়েছে। তার আগে হঠাৎ দিল্লি গিয়ে এইভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর বৈঠক ঘিরে স্বভাবতই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।