এবার দার্জিলিং থেকে হবে রাজভবনের কাজ, উত্তরের ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামছেন রাজ্যপাল?

এবার দার্জিলিং থেকে হবে রাজভবনের কাজ, উত্তরের ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামছেন রাজ্যপাল?

শিলিগুড়ি: ফের উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ জানা গিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর তিনি উত্তরবঙ্গের অঘোষিত রাজধানী শিলিগুড়িতে পৌঁছবেন। ১ থেকে ৩০ নভেম্বর দার্জিলিংয়েই থাকবেন রাজ্যপাল৷ গোটা নভেম্বর দার্জিলিংয়ে বসেই রাজভবনের কাজ করবেন তিনি৷ রাজভবনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও তাঁর সঙ্গে দার্জিলিংয়ে থাকবেন৷ এই সময় পাহাড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন রাজ্যপাল৷ 

আরও পড়ুন- আত্মসমর্পণ না গ্রেফতারি? গুরুং প্রশ্নে নয়া প্রস্তুতি পুলিশের! ঘনাচ্ছে মেঘ!

এক মাসেরও কম সময়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে দু’বার শিলিগুড়ি সফরে যাচ্ছেন জগদীপ ধনখড়৷ তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে এখানকার রাজনৈতিক করিডোরে বিভিন্ন ধরণের জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজ্যপালের এই সফরটিকে বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোকের পর ড্যামেজ কন্ট্রোল হিসাবেই দেখা হচ্ছে। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মাস্টার স্ট্রোক খেলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একদিকে জঙ্গলমহলে আদিবাসী আন্দোলনের মুখ ছত্রধর মাহাতোকে তিনি যেমন তৃণমূলে সামিল করেছেন, অন্যদিকে পাহাড়ে গোর্খা আন্দোলনের মুখ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রধান বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বিভেদ ঘুচিয়ে মোক্ষম চাল চেলেছেন৷ 

আরও পড়ুন- বিমল গুরুং কে? কী তাঁর পরিচয়? কতটা জোরালো গোর্খাল্যান্ডে দাবি?

২০১৭ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন গুরুং৷ বহু চেষ্টা চালিয়েও পুলিশ তাঁর খোঁজ পায়নি৷ পঞ্চমীর বিকেলে আচকাই প্রকাশ্যে আসেন তিনি৷ একদা বিজেপি’র শক্তিশালী সমর্থক বিমল গুরুং তিন বছর গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও বিজেপি’কে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু ২১ অক্টোবর আচমকা কলকাতায় আসার পরই ১০০ শতাংশ ভোল বদল করে ফেলেন পাহাড়ের এই দাপুটে নেতা৷  একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর প্রতিপক্ষ বিমল গুরুং এখন তৃণমূলের গুণগ্রাহী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি৷ গুরুং বলেন, ‘‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টানা তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চাই। কারণ, তিনি পার্বত্য উপজাতি এবং সমগ্র পাহাড়ের উন্নয়নে অনেক কিছু করেছেন।” কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরুং বলেন, “আমরা এখন বিজেপির থেকে বিচ্ছিন্ন৷ আমরা দার্জিলিংয়ে বিজেপিকে দু’একবার নয়, পর পর তিনবার সমর্থন করেছি৷ কিন্তু বিজেপি আমাদের জন্য কিছুই করেনি। গোর্খাল্যান্ডের দাবিও রূপণ হয়নি৷ তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করব৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *