কলকাতা: মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু দিবসে গণতন্ত্র নিয়ে ফের রাজ্যকে নিশানা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের৷ বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে৷ বাংলার মাটিকে রক্ত রঞ্জিত হতে দেখতে পারব না৷ বাংলায় আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলছে৷ সংবিধানকে রক্ষা করাই আমার কাজ৷ মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের৷ এদিন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়েও সরব হন রাজ্যপাল৷
আরও পড়ুন- বিতর্কে ইতি টানতে ক্ষমা চাইলেন কবীর সুমন! বললেন, আর কার কার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে
এদিন রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমি অনেক চেষ্টা করেছি৷ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে শপথ পাঠ করিয়েই আপনাদের সকলের সামনে ওঁকে সতর্ক করেছিলাম৷ এটা বড় চিন্তার বিষয়৷ আমরা পশ্চিমবঙ্গের পবিত্রভূমিকে এই ভাবে রক্তরঞ্জিত হতে দেখতে পারব না৷ মানুষ বলছে, বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে পরিণত হচ্ছে৷ এটা বরদাস্ত করা যায় না৷ পশ্চিমবঙ্গ এমন একটা ল্যাবরেটরিতে পরিণত হয়ে যাবে, যেখানে মানবাধিকারকে হনন করা হবে, তা সহ্য করা যায় না৷ যার ফলস্বরূপ, রাজ্যের উচ্চ আদালত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই সকল ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেয়৷ পরিস্থিতি যতই সঙ্গীন হোক না কেন, আমাকে যতই অপমান সহ্য করতে হোক, আমি আমার পথ থেকে সরব না৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যের মধ্যে এমনকী রাজ্যের বাইরে গিয়ে যে টিপ্পনি করছে, তা উচিত নয়৷’’
পাল্টা ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আমার মনে হয় রাজ্যপাল বাংলার ইতিহাস জানেন না৷ বাংলার রাজনীতিতে সহিংস প্রভাব বরাবরই ছিল৷ নির্বাচনে যদি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে তার সার্বিক দায় কোনও দলের নয়৷ ওঁকে বলব, কোনও নির্দিষ্ট দলের মুখপাত্র না হলে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুন৷ উনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহযোগিতা করুন এটাই চাই৷ ফেসবুক-টুইটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের কী ভূমিকা হওয়া উচিত, সেই বিষয়ে উনি নিজেই সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলুক৷’’