কলকাতা: নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপনে রাজভবনের চা চক্রের আয়োজন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ দিন অতীতের সমস্ত সংঘাত ভুলে সেই চা চক্রে যোগ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, এই চা-চক্রে উপস্থিত ছিলেন অনেক বিশিষ্ট অতিথিরাও। সকলের সঙ্গেই বেশ কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা চলে তাঁর।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে রাজভবনে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ রাজ্য পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্তারা। চা চক্রে যোগ দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেক বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন চা চক্রের আয়োজন করে রাজভবন, আর সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম ঘটলো না। উল্লেখ্য, এদিন রাজ্য সরকারের তরফে যে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেখানেও কিছুক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁর।
রাজ্যপাল হিসেবে রাজ্যে আসার পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারের সঙ্গে সংঘাত লেগেছে জগদীপ ধনকড়ের। এমনকি রাজ্যের শাসক দল বহুবার তাকে বিজেপির দালাল বলে কটাক্ষ করেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন তিনি। সম্প্রতি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছেন তিনি। বারংবার অভিযোগ করেছেন বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে এবং নির্বাচন স্বচ্ছ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যদিও বিগত কয়েকদিনে সেই সংঘাতের আবহকে এক ফ্রেমে দেখা গেছে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে। সম্প্রতি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল-এর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।