করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক, রাজভবনে সাক্ষাৎ মুখ্যসচিব-রাজ্যপালের

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক, রাজভবনে সাক্ষাৎ মুখ্যসচিব-রাজ্যপালের

4da65f45045d7e2c893752d6a27314b5

কলকাতা: দেশের এবং রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে একদিকে যেমন বাড়ছে উদ্বেগ অন্যদিকে বাড়ছে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই প্রেক্ষিতে এদিন রাজভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট তাদের দুজনের বৈঠক হয়। 

তাৎপর্যপূর্ণভাবে সম্প্রতি রাজ্যপাল অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সেই সম্পর্কে তাঁকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এই প্রেক্ষিতে তিনি কেন্দ্র এবং রাজ্য একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে এমন বার্তা দিয়েছিলেন। যদিও আজ রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সমস্ত পদক্ষেপের কথা জানান। ফলত, রাজ্যপালের বক্তব্য, দুই সরকারকে এক হয়ে কাজ করে এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এখন পক্ষপাতিত্বের কোনও জায়গা নেই। 

 

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই রাজ্যবাসীর। টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। এদিন মালদা থেকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, নির্বাচনী প্রচারের জন্য বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ আসছেন তাই জন্য বাংলায় সংক্রমণের হার বাড়ছে। তবে রাজ্য সরকার সবরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই টাস্ক ফোর্স গঠন করে কাজ শুরু করা হয়েছে। তাই রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্যে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এর পাশাপাশি তিনি আরো জানান, আরো সাড়ে চার হাজার বেড বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে সেফ হোম প্রসঙ্গে তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। জানান, ২০০ সেফ হোমে থাকছে ১১ হাজার বেড। একই সঙ্গে বিভিন্ন হোটেলের সেফহোম তৈরি হবে বলে তিনি জানান তিনি। এদিকে সরকারি হাসপাতালে ৪ হাজার করোনা বেড বাড়বে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ৪০০ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *