‘দুর্নীতির আখড়া’ জিটিএ নিয়ে ফের খোঁচা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব

‘দুর্নীতির আখড়া’ জিটিএ নিয়ে ফের খোঁচা রাজ্যপালের, রিপোর্ট তলব

25db1fd018b723e129e9bbd1b6546ae8

কলকাতা: জিটিএ নিয়ে ফের একবার সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জিটিএ’কে ‘দুর্নীতির আখড়া’ বলে সেই সম্পর্কিত রিপোর্ট আগামীকালের মধ্যেই চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, গোর্খা টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তহবিলে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। জিটিএ এখন ‘দুর্নীতির আখড়া’, এমন ভাষাতেই খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যপাল।

এর আগেও জিটিএ নিয়ে একাধিকবার রাজ্যের তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন তিনি। যদিও পালটা দিয়েছিলেন মমতাও। সেই সংঘাত এখন আবার আরও একটু বেড়ে গেল বলেই ধারণা। এদিন টুইট করে রাজ্যপাল জিটিএ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জিটিএ’তে একেবারে টালমাটাল অবস্থা। জিটিএ গঠনের পর এক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্যাগ অডিট হয়নি। জিটিএ আইন, ২০১১ এর ৫৫(১০) ধারা অনুযায়ী, জিটিএ-র কার্যকলাপের রিপোর্ট দিতে হয় রাজ্যপালকে, কিন্তু সেই রিপোর্টও এখনও দেওয়া হয়নি। জিটিএ প্রশাসক মণ্ডলীকে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জিটিএ আইনের ৫৫ (১০) ধারা অনুযায়ী সমস্ত কাজের আপডেট এবং রিপোর্ট জমা করতে হবে।” এর আগে অডিট দিবস উপলক্ষে টুইট করেও জিটিএ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। তখন তাঁর বক্তব্য ছিল, ”প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব দেওয়া উচিত যে, ক্যাগ দিয়ে জিটিএ অডিট কেন হয়নি বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে? এই কারণে জিটিএকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর বলা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে কার্শিয়াং-এ প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একদিকে যেমন পাহাড়ে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন, ঠিক তেমনি স্থায়ী সমাধানের জন্য জিটিএ নির্বাচনের ঘোষণা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভোটার তালিকা সংশোধন হলেই জিটিএ নির্বাচন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পাহাড়ে বাইরে থেকে এসে রাজনীতি করে চলে যাচ্ছে অনেকে। দার্জিলিং ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের। তাই সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং পাহাড়ের মানুষের কথা ভাবতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *