কলকাতা: করোনায় পশ্চিমবঙ্গে প্রবীণ নাগরিকদের মৃত্যু সব থেকে বেশি। করোনায় বাংলায় মৃত্যু হওয়া পাঁচ জনের মধ্যে একজন প্রবীণ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। এবার করোনায় প্রবীণদের মৃত্যু রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের শহরগুলিতে প্রবীণদের ওপর পর্যবেক্ষণ চালাবে স্থানীয় প্রশাসন। বিশেষ করে বিভিন্ন আবাসনে থাকা নিঃসঙ্গ প্রবীণদের ওপর নজর চালাবে স্থানীয় প্রশাসন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ৩৯ লক্ষ মানুষকে টাকা পৌঁছে দিয়েছে সরকার, ঐতিহাসিক মুহূর্ত বললেন মমতা
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার প্রবীণদের ওপর তিনটে পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ চালাবে। মূল দায়িত্বে থাকবে রাজ্য সরকারের তিনটে দফতর। পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ওপর প্রধায় দায়িত্ব থাকবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও এই বিষয়ে খোঁজ খবর নেবে বলে জানা গিয়েছে। নজরদারির জেরে দ্রুত রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকরা পরিষেবা পাবেন। অ্যাম্বুল্যান্সও সঠিক সময়ে পাবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে মৃত্যুর হার অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- কবে খুলবে স্কুল-কলেজ? রাজ্যে ফের পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষ করে শহর ও শহরতলীতে ফ্ল্যাট বা আবাসনে অনেক নিঃসঙ্গ প্রবীণ মানুষ থাকেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাঁরা করোনা আক্রান্ত হলে দ্রুত যাতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছে যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি তাঁদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে। স্থানীয় থানার আধিকারিক, বিডিও, ব্লক মেডিক্যাল অফিসার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের মতো জনপ্রতিনিধিদের এই বিষয়ে নজর রাখতে হবে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, সল্টলেক, বিধাননগর এলাকায় কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্গাপুর, আসানসোল, শিলিগুড়ির মতো শহরে দ্রুত কাজ শুরু করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়ছে।