কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতিকে বাগে আনতে আরও তৎপর রাজ্য৷ কোভিড পরিস্থিতির উপর আরও বেশি নজর রাখতে কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (কেএমসি)-এর প্রতিটি ওয়ার্ডে কো-মর্বিডিটি সার্ভে শুরু করল স্বাস্থ্য দফতর৷
মঙ্গলবার নবান্নের ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানান রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও৷ মুখ্যমন্ত্রী চান, কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেও যেন এই সার্ভে শুরু করা হয়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যাঁদের ব্লাড সুগার বা হাই ব্লাডপ্রেসারের মতো অসুখ রয়েছে, তাঁদের আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে৷ মৃত্যুর হার বাড়ছে৷ কোভিড বাদ দিয়ে কঠিন অসুখে রাজ্যে কতজনের মৃত্যু হচ্ছে, সেই রিপোর্টও দেখতে চাই আমি৷’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) বা শ্বাসযন্ত্রে কোনও অসুখ থাকলে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়৷ সাধারণ মানুষের চেয়ে সিএপিডি রোগীদের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি৷
আরটিপিসিআর টেস্টের পাশাপাশি র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উপরেও জোর দিয়েছে পুরসভা। দিন কয়েক আগেই একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর শেয়ার করেছিলেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “বিভিন্ন ওয়ার্ডে অ্যান্টিজেন এবং আরটিপিসিআর টেস্ট হচ্ছে। যত বেশি টেস্ট করা যাবে, তত দ্রুত করোনা রোগীদের সনাক্ত করা যাবে। ওই নম্বরে যে কেউ টেস্টের বিষয়ে জানাতে পারবেন। কোনও ক্লাব বা কারও বাড়ি অথবা কোনও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যাবে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। তবে কমপক্ষে ২০ জন হতে হবে। প্রয়োজন মনে হলে, তাঁদের আরটিপিসিআরও টেস্ট করানো হবে।”
আরও পড়ুন- করোনার দাপটে ফিঁকে মাদার টেরিজার জন্মোৎসবও, অনলাইনেই শ্রদ্ধা সন্তকে
আরও পড়ুন- স্থগিত হোক পরীক্ষা, জোট বেঁধে মামলার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর, তুললেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা