কলকাতা: করোনা থেকে বাঁচতে অন্যতম উপায় সামাজিক দুরত্ব। সেই সামাজিক দুরত্বকে দূরে সরিয়ে কাজে যোগ দিতে ছুটলেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। এটা ছাড়া তাঁদের কোনও উপায় ছিল না। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে গেলে কাজে পৌঁছন যেতো না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
সোমবার থেকে বিভিন্ন অফিস খুলে যায়। ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু কলকাতা পুরসভা জানায় ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ করা হবে। এই বিষয়ে ফিরহাদ ববি হাকিম জানিয়েছেন, অনেকদিন কলকাতা পুরসভা বন্ধ রয়েছে। তাই কলকাতার মানুষকে পরিষেবা দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কর্মীরা পৌঁছবেন কী করে।
বাসের অপ্রতুলতা রয়েছে যথেষ্ট। লোকাল ট্রেন চলছে না। ভরসা শেয়ার গাড়ি, ট্যাক্সি, নিজের মোটরবাইক কিংবা যে কটা বাস চলছে তাতে যাওয়া। কলকাতা পুরসভার এক কর্মী জানিয়েছেন, তিনি বাসে এসেছেন। বাসের জন্য তাঁকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। তারপরে তিনি যে বাসটা পেয়েছেন, তাতে ভিড় ছিল যথেষ্ট। তবে তিনি সেই বাসেই এসেছেন।
অন্য দিকে যাঁরা শেয়ার ট্যাক্সিতে এসেছেন, তাঁরা একই কথা জানিয়েছেন। সেখানেও মানা হয়নি সোশ্যাল ডিসটেন্স। একটা ট্যাক্সিতে চালক নিয়ে পাঁচ জন। পিছনে তিন জন যাত্রী বসছে। যার ফলে মানা হচ্ছে না কোনও সোশ্যাল ডিসটেন্স। শেয়ার গাড়িতেও এক অবস্থা। তবে যাঁরা নিজেদের মোটরবাইকে এসেছেন, তাঁরা কিছুটা সুরক্ষিত বলে ধরা যেতে পারে। এই ভাবে গাদাগাদি করে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি আর নেই। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার জন্যই মানুষ সমস্ত আশঙ্কা নিয়েই গাদাগাদি হয়ে অফিস যাচ্ছেন। এরফলে যে রাজ্যের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।