কলকাতা: এই দুর্দিনেও মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে ন্যায্য দামে টাটকা মাছের অন্তত জোগান দিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হলো অনলাইনে মাছ বিক্রি। রুই, কাতলা, পারশে সব মাছই অর্ডার করা যাবে ঘরে বসেই। এর জন্য গুগল প্লেস্টোর থেকে আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসার্স ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের একটি অ্যাপ।
করোনা আবহে ঘরবন্দী দশায় খাওয়াদাওয়া থেকেও যেন মন উঠে গেছে মানুষের। সবেতেই আতঙ্ক। এমনকি বাজারের শাকসবজি থেকে ফলমূল, মাছ-মাংস সবেতেই যেন করোনার ছোঁয়া। তবে এই মনখারাপ করা দীর্ঘ বন্দীদশায় যখন কোনো কাজেই মন লাগছেনা তখন ব্যাতীক্রমী হলেও শুধু মন ভালো রাখতেই অনেকে আবার রান্না ঘরে বেশি সময় কাটাচ্ছেন, হরেক পদের রান্না আর গুড়িয়ে খাওয়া। এভাবেই করোনারি ভয় তাড়াচ্ছেন। সুতরাং সাহস করে বাজারেও যাচ্ছেন, তবে চড়া দামের ঠেলায় আতঙ্ক আরো বেড়ে যাচ্ছে। আতঙ্ক করোনার নয়, বরং রসনাতৃপ্তির ঘাটতি কত দীর্ঘ হতে পারে সেই ভেবে। আর বাজারে ভিড় থাক বা না থাক এই পরিস্থিতিতেও কিন্তু দিব্যি মনের মত দাম নিয়ে লোক ঠকাতে ব্যস্ত বহু বিক্রেতাই। খোদ্দের বুঝে চড়া দাম হাকাচ্ছেন সব্জি এবং মাছ বিক্রেতারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নিজে কয়েকটি বাজার ঘুরেও দেখেছেন, অকারণে নিত্যদ্রব্যের চড়া দাম নিলে অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। কিন্তু সব এড়িয়েই চলছে এই কালোবাজারি। তাই সবটা না হলেও বাঙালির ঘরে মাছের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে কলকাতার বাসিন্দাদের জন্য চালু হয়েছে একটি অ্যাপ। আর অন্যদিকে জেলাগুলিতে সঠিক দামে মাছ পৌঁছে দেবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসার্স ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের, নিজস্ব মাছের গাড়ি। জানিয়েছেন এক শীর্ষ আধিকারিক।
খুচরো বাজারে মাছের অতিরিক্ত দাম নিয়ে মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার পরেই সরকারি উদ্যোগে মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মৎস্য মন্ত্রী বলেন,”হঠাৎ করেই লকডাউনের ফলে বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে। এমন বহু অভিযোগ জমা পড়ছে। তাই অনলাইনেই মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সমস্ত জেলা আধিকারিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন সাধ্যমত জেলার বাজারে এই মাছের জোগান দেয়৷