নদীয়া: আর পাঁচ জনের মতোই স্বাভাবিক ছিল নারায়ণের জীবন। পেশায় ছিলেন দিনমজুর৷ যা আয় করতেন তা দিয়ে সকলের দু’বেলা দু’মুঠো ভালোই চলছিল। বছর আটেক আগে অজ্ঞাত কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এখন শিকলে বন্দি হয়ে গেছে তার জীবন। যা অত্যন্ত মানবিক তো বটেই নিদারুন বেদনারও৷ পরিজনদের দাবি, সাধ্যমত চেষ্টা করেও সুস্থ করতে না পেরেই তাঁকে শিকল বন্দি করা হয়েছে৷
এখন পুরো পরিবারের কাছেই বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে নারায়ণ। নাম নারায়ণ মল্লিক, বাড়ি নদীয়ার কল্যাণী থানার সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাজি নগর এলাকায়। চার ভাই এর মধ্যে সবথেকে ছোট নারায়ণ৷ মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে অনেক চিকিৎসা করেও ভালো ফল দেয়নি। মানসিক ভারসাম্যহীন বিভিন্ন জায়গাতে তাকে ভর্তি করা হলেও সেখানেও ঠাঁই হয়নি নারায়ণের।
পরিজনেরা জানান, উল্টে দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে নারায়ণ৷ এখন কাউকে দেখলেই হিংস্র হয়ে উঠছে। আশপাশের কাউকে দেখলেই মারধর করতে আসে। ইতিমধ্যে তার এই অত্যাচারের অতিষ্ঠ হয়ে তার বৃদ্ধা মা পায়ে শিকল পরিয়ে একেবারে অন্ধকার ঘরে রেখে দিয়েছেন। অভাবের সংসার, ছেলেরা সকলেই দিনমজুরের কাজ করেন। অন্যদিকে, বাড়িঘর সেভাবে ভালো নয়৷ একটাই ঘর ,ছোট্ট বারান্দা, আর বারান্দাতেই পায়ে শিকল পরা অবস্থায় রাখা হয়েছে নারায়ণকে। একটি ঘরের ভিতরে কোন রকমে গাদাগাদি করে থাকেন বাকিরা। একটাই দাবি, সঠিক চিকিৎসার এর পাশাপাশি তার সুব্যবস্থা । ইতিমধ্যেই কল্যাণীর মহকুমা শাসক তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। স্থানীয়রাও বলেন, অসহায় এই পরিবারটির পাশে দাঁড়াক প্রশাসন৷