কলকাতা: গত সপ্তাহেই কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল থেকে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ পান দুই ভাই বিষ্ণু এবং বদ্রীনারায়ণ মিত্তল৷ টিকা পেয়ে বেজায় খুশি তাঁরা৷ বাড়ি ফিরে তাঁদের মনে হয়, যে ভাবে তাঁরা বিনা পয়সায় টিকা পেয়েছেন, তার বিনিময়ে কোথাও কোনও ভাবে যদি সাহায্য করতে পারেন৷ এর পরেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড (WBSERF)-এ সাহায্য করেন তাঁরা৷ সরকারি টিকা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে টিকা নেওয়া প্রথম ব্যক্তি হিসাবে রাজ্য ইমার্জেন্সি ফান্ডে অনুদান দিলেন দুই ভাই৷
আরও পড়ুন- নারদকাণ্ডে মিলবে কি জামিন? মামলা সরানোর আর্জি জানাতে পারে CBI, রিপোর্ট PMOতেও
মশলার ব্যবসায়ী বিষ্ণু মিত্তল বলেন, ‘‘আমরা বিনামূল্যে সরকারি কেন্দ্র থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পয়েছি৷ কিন্তু কোনও বেসরকারি হাসপাতালে টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ সে কারণেই আমাদের মাথায় আর্থিক দানের চিন্তা আসে৷’’ এর পরেই তাঁর ছেলে অজয় মিত্তল WBSERF-এর কথা তাঁকে জানান৷ মিত্তলের মতো আরও অনেক ব্যক্তি যাঁরা টিকার খরচ বহনে সক্ষম, অথচ সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনা পয়সায় টিকা নিয়েছেন, তাঁরা অনুদান দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন৷
ভবানীপুরে গাড়ির ব্যবসায়ী বিজয় আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমারও মনে হয়েছে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন তাঁদেরই পাওয়া উচিত, যাঁদের আর্থিক সঙ্গতী নেই৷ বেসরকারি হাসপাতালে টিকা না মেলায় আমার মা এবং শাশুড়ি মা সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন৷ আরও বেশি মানুষ WBSERF-এ বিনিয়োগ করলে, টিকা কিনতে সরকারের আরও সাহায্য হবে৷
আরও পড়ুন- রাজভবনের দুয়ারে ভেড়ার পাল চড়িয়ে প্রতিবাদ! চরম ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল
প্রসঙ্গত, ১ মে’র আগে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড উভয় টিকার দাম বেসরকারি হাসপাতালে ছিল ২৫০ টাকা৷ তখন কেন্দ্র থেকে টিকা আসছিল৷ এখন বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ১২০০ টাকা দিয়ে কোভ্যাক্সিন আর ৬০০ টাকা দিয়ে কোভিশিল্ড কিনতে হচ্ছে৷ হিরেন প্যাটেল নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে সরকারি হাসপাতালে টিকা নিচ্ছেন৷ যাঁরা টিকার খরচ বহনে সক্ষম, তাঁরা সেই টাকাটা সরকারি তহবিলে দান করুন৷’’