জিটিএ চুক্তি প্রত্যাহার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার, কোন পথে পাহাড়?

জিটিএ চুক্তি প্রত্যাহার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার, কোন পথে পাহাড়?

 কলকাতা: জিটিএ চুক্তি থেকে সড়ে গেল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা৷ সই প্রত্যাহার করে নিল দল৷  এই বিষয়টি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আজ, শুক্রবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তাঁর দাবি, পাহাড়ে গোর্খা জনজাতির উন্নয়নের স্বার্থে জিটিএ তৈরি করা হয়েছিল। অথচ এত বছরেও গোর্খাদের উন্নয়নের স্বার্থে কোনও কাজ হয়নি। সেই কারণেই জিটিএ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

আরও পড়ুন- ‘আসল নোবেল পাননি’! উপাচার্যের কথা শুনে হেসে ফেললেন অমর্ত্য, মুখ খুললেন জমি প্রসঙ্গেও

২০১১ সালের ১৮ জুলাই৷ শিলিগুড়ির পিন্টেল ভিলেজে কেন্দ্র, রাজ্য এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে জিটিএ চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানান, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে সভাপতি বিমল গুরুংয়ের উপস্থিতিতে তিনি নিজে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন৷ পরবর্তীতে এই জিটিএ চুক্তি  আইনে পরিবর্তিত হয়েছিল। সেই চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। এই চিঠির ফলে ভেঙে যেতে পারে জিটিএ৷ তেমনটাই আশঙ্কা৷

কী বলেছেন রোশন গিরি? জিটিএ চুক্তি থেকে সাক্ষর প্রত্যাহার করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গোর্খা জাতির উন্নয়নের জন্য জিটিএ অর্থাৎ গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠন করা হয়েছিল। তবে তাঁর অভিযোগ, এত বছরেও গোর্খাদের কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাঁর কথায়, ‘আমরা আমাদের সই প্রত্যাহারের মাধ্যমে জিটিএ থেকে সমর্থন তুলে নিলাম। এরপরে আগামী দিনে এই জিটিএ’র ভাগ্য সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্র–রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।’