কলকাতা: আরও একবার বাংলার প্রবাদ প্রবাদপ্রতিম কবি সমাজকর্মী ও নারীবাদী লেখিকা কামিনী রায়কে সম্মান জানাল গুগল৷ আজ গুগল ডুডলে বাংলার এই প্রখ্যাত নারীর অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে৷ কামিনী রায়ের ১৫৫ জন্মশতবর্ষে তাঁকে সম্মান জানিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন৷
কামিনী রায়৷ ১৮৬৪ আজ এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক এই লেখিকা৷ ‘জনৈক বঙ্গমহিলা’ ছদ্মনামে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লিখে গিয়েছে একাধিক বিদ্রোহ৷ কামিনী রায়ের জন্ম বাংলাদেশের বরিশাল জেলায়৷ পিতা চণ্ডীচরণ সেন ছিলেন বিচারক ও ঐতিহাসিক৷ পরে পেশাগত কারণে স্ত্রী-কন্যাকে কলকাতায় চলে আসেন চণ্ডীচরণ সেন৷ কলকাতায় ব্রাহ্মধর্মে সমাজকে নেতৃত্ব দেন তিনি৷
ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ১৮৮৬ সালে তিনি বেথুন কলেজে শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন৷ অধ্যাপনা করেন৷ মেয়েদের শিক্ষার বিকাশে উদ্যোগ নেন তিনি৷ বহু প্রবন্ধে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে সওয়াল করেন৷ নারী শ্রম নিয়ে তদন্তের জন্য ১৯২২-২৩ সালে কমিশন গড়েন তিনি৷ তাঁর কবিতা পড়ে মুগ্ধ হয়ে স্টাটুটারি সিভিলিয়ান কেদারনাথ রায় তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন৷ ১৮৯৪ সালে কেদারনাথ রায়কে বিয়ে করেন তিনি৷ ১৯০৯ সালে কামিনী রায়ের স্বামীর মৃত্যু পর শোক ও দুঃখ তাঁর জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে৷ প্রবন্ধ লিখে সমাজে প্রভাব ফেলার লিখতে শুরু করেন কবিতা৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে প্রশংসা করেন৷
১৯২৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কামিনী রায়কে স্বর্ণপদক প্রদান করে৷ ১৯৩০ সালে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি৷ ১৯৩২ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও সহ-সভাপতি ছিলেন কামিনী রায়৷