কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর৷ আগামী পয়লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশন৷ কিন্তু, বেতন বৃদ্ধির সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর এবার রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স (রোপা) ২০১৯-এর বিজ্ঞপ্তি জারি করে ‘অপশন’ ফর্ম পূরণের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য৷ এবার সেই ‘অপশন’ ফর্ম পূরণের সময়সীমা আরও বেশ খানিকটা বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল অর্থ দপ্তর৷
‘অপশন’ ফর্ম চালু করে সরকারি কর্মচারীদের থেকে ইতিমধ্যেই জানতে চাওয় হয়ছে, তাঁরা কোন সময় থেকে বর্ধিত হারে বেতন নেবেন৷ সেই সংক্রান্ত ফর্ম জমা করার মেয়াদ ছিল ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত৷ এবার সেই সময়মীমা বাড়িয়ে অর্থ দপ্তরের তরফে জারি হয়েছে নয়া বিজ্ঞপ্তি৷
অর্থ দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘অপশন’ ফর্ম দাখিল করতে বড় সংখ্যক কর্মচারীর সমস্যায় পড়েছেন৷ এখনও তাঁরা তা জমা করাতে পারেননি৷ ফলে,তাঁদের কথা মাথায় রেখে ‘অপশন’ ফর্ম দাখিলের সময় বাড়ানো হল৷ আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০২০ সালের মধ্যে সমস্ত কর্মকারীকে এই ফর্ম দাখিল করতে পারবেন৷ কিন্তু, অপশন ফর্ম জমা করার সময় বাড়ানো হলেও রিভিশন অব পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স (রোপা) ২০১৯ আগের বিধি অনুযায়ী কার্যকর থাকবে বলেও জানানো হয়েছে৷
ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হওয়ার পর সেপ্টেম্বরে ‘রোপা ২০১৯’ বিধি সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাতে অপশন ফর্ম পূরণের কথা উল্লেখ করা হয়৷ নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৬ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন হার কার্যকর করার কথা বলা হয়৷ একই সঙ্গে কোনও বকেয়া পাওয়া যাবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়৷ তবে, বকেয়া না দিলেও ‘নোশনাল’ এফেক্ট হিসাবে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন বেতন হার কার্যকর করতে চলছে৷ তার জেরেই প্রতি বছরে তিন শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি ধরে কর্মীদের বর্ধিত বেতন হার নির্ধারিত করেছে রাজ্য৷
অপশন কী? বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন বেতন কাঠামোর সুবিধা নিতে পারেন৷ আবার নতুন বেতন হারের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
অপশন ফর্মে কর্মীরা জানাতে পারবেন, আপাতত তিনি যে হারে বেতন নিচ্ছেন, তা অব্যাহত থাকবে৷ আবার পরবর্তী পদোন্নতির সময় থেকে তিনি নতুন হারে বেতন নিতে পারেন৷ সেই অপশনও দেওয়ার সুযোগ আছে৷ তবে, এর আগে ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ১২ মাসের বকেয়া দেওয়া হলেও এবার বকেয়া পাওয়ার সুযোগ কোনও নেই৷
নির্দেশিকা মেনে পে ফিক্সেশন ফর্মের মাধ্যমে কর্মচারীদের নাম, দপ্তর, কত সালে কাজে যোগদান করেছেন, উচ্চ মাধ্যমিকে কত শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, পে-ব্র্যান্ড কত, গ্রেড পে হিসাবে সেইসব কর্মচারীরা কত টাকা বেতন পান, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জানাতে বলা হয়৷