কলকাতা: ‘দেশকে গাদ্দারও কো, গোলি মারো সালো কো’! বিজেপি নেতৃত্বের এই স্লোগান শুনে রে রে করে উঠেছিল তৃণমূলসহ বাকি বিরোধীদল। প্রত্যক্ষভাবে হিংসা এবং উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির শিবিরের দিকে। এবার খোদ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল থেকে উঠল গোলি মারো স্লোগান, তাও আবার শান্তি মিছিল থেকে! এমনই ঘটনা ঘটেছে খোদ শহরে। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে।
এদিন টালিগঞ্জ থেকে হাজরা পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস শান্তি মিছিল করে। সেই মিছিল থেকেই স্লোগান উঠতে শোনা যায়, “বাংলা কা গাদ্দারও কো, গোলি মারো সালো কো”! এর পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের প্ল্যাকার্ড এবং ফেস্টুন ছেড়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে আজ খেজুরিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির সংঘর্ষ বাধে, পাঁচ জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, খেজুরি থেকে মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা হেঁড়িয়ায় দিকে যাচ্ছিলেন। আচমকা সেসময় তাঁদের উপর তৃণমূলের লোকেরা হামলা করে বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, এই হামলার ফলে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। তারা আরও জানাচ্ছে, কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে বোমা ও ইট ছোঁড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে হেঁড়িয়াতে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় আসার পথে বিজেপি সমর্থকদের আসতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি পথ আটকে মারধর করে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জানিয়েছেন, ‘‘ছাড়ার কোনও জায়গা নেই।’’ এখানেই শেষ নয়, এলাকার পুলিশ প্রশাসনকেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিন জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘আমার মানসিক অবস্থা ভালো না। কারণ খেজুরিতে আমাদের লোকজন মার খেয়েছে। …কার্তিক এখন তমলুকে আছে। তাঁর সিটি স্ক্যান হয়েছে। আমি এখান থেকে তমলুক যাব৷’’ এরপরই পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷ দোষীদের আটক করার জন্য আগামী রবিবার পর্যন্ত প্রশাসনকে সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি রবিবার অবধি পুলিশ প্রশাসনকে টাইম দিচ্ছি৷ সোমবার নবারুণবাবু আর অনুপবাবুকে নিয়ে আমি তমলুকের এসপি অফিসের সামনে বসে থাকব।’’