কলকাতা: টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান নেমে আবারও বিরাট তথ্য হাতে এল। এবার চক্ষুচড়কগাছ হয়েছে গোয়েন্দাদের। শ্যামাপ্রসাদের অন্যতম সহযোগী রামশঙ্কর মোহান্তির নামে নেওয়া লকার থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩ কিলো সোনা! রাম বলছেন, এই সোনা শ্যামাপ্রসাদেরই। লকারে রয়েছে সোনার অলঙ্কার, সোনার বাঁট ও বিস্কুট। অনুমান, এই সোনার বাজারদর প্রায় ৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- বিশ্বভারতীয় অচলাবস্থা কাটাতে পুলিশি হস্তক্ষেপের নির্দেশ হাইকোর্টের
টেণ্ডার দুর্নীতি কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ও পুলিশ হেফাজতে থাকা রামশঙ্কর মহান্তি ওরফে খোকনকে নিয়ে কয়েকদিন আগেই বেশ কিছু এলাকায় তদন্তে যান তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা৷ ভূমি দফতরের সহযোগিতায় শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের আরও বেশ কিছু সম্পত্তির সন্ধান পান পুলিশ কর্তারা৷ এবার রামকেই জেরা করে এই লকারের হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে বিষ্ণুপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে একটি লকারের কথা। সেই লকার থেকেই উদ্ধার হয়েছে এই পরিমাণ সোনা। আপাতত ওই লকারটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। রামশঙ্কর জেরায় স্বীকার করেছেন যে, তিনি নিজে শ্যামের বাড়ি থেকে ওই সোনা নিয়ে এসে ব্যাঙ্কের লকারে রেখেছিলেন। বিগত কয়েকদিন ধরে তদন্ত চালিয়ে গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০ কোটি অর্থমূল্যের জমি-জায়গার খোঁজ পেয়েছেন। বিষ্ণুপুর শহর ও শহরের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে প্রচুর জমি রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর। এমনকি ছেলে মেয়ের নামেও বেশ কিছু জমি কিনেছিলেন তিনি। তদন্তে নেমে তার মধ্যে বেশ কিছু দলিলও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে হদিশ মিলেছে একাধিক পেট্রল পাম্পেরও৷
আরও পড়ুন- ৩৫০ তালিবান খতম, ৪০ বন্দি! হুঙ্কার দিচ্ছে পঞ্জশির
অন্যদিকে প্রাক্তন মন্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়েও চর্চার কোনও শেষ নেই। কারণ জানা গিয়েছে সেখানে বিভিন্ন সময়ে ২০ লক্ষ টাকা থেকে ৭০ লক্ষ টাকা নগদে জমা করা হয়েছে। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০ লক্ষ টাকা জমা করা হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে তদন্তকারী অফিসাররা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টেও নজরদারি চালান হচ্ছে।