নয়াদিল্লি: দলবদলের সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি৷ মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘‘আমি বিজেপিতে যাচ্ছি না৷ আমি এখনও কংগ্রেসেই আছি৷’’
গত কয়েক দিন ধরেই দীপাকে ঘিরে দলবদলের জল্পনা শুরু হয়৷ রায়গঞ্জের আসন না পাওয়ায় তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে নানান জল্পনা তৈরি হয়৷ মুকুল রায়ের সঙ্গে দীপার বৈঠক ঘিরেও তৈরি হয় জল্পনা৷ শোনা যাচ্ছিল, খুব সম্ভবত আজই তিনি বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন৷ কিন্তু, মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপি যাচ্ছে না৷ মেদের সঙ্গে জোটের স্বার্থে রায়গঞ্জ আসন কংগ্রেসের তরফে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা হলেও কংগ্রেস সূত্রে খবর, খুব সম্ভবত তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করা হতে পারে৷
সূত্রের খবর, বাম, কংগ্রেসের জোট নিয়ে রাহুল গান্ধীর নির্দেশে মাথা ঘামাচ্ছেন রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ। কংগ্রেস সভাপতির নির্দেশে বামেদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে চলেছেন গৌরব গগৈ। কংগ্রেস ও বামেদের জেতা আসনে কেউ কারও বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না। আর এমন সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ হতেই দীপা-মুকুল বৈঠক ঘিরে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা৷
২০১৪ লোকসভা ভোটেও রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে চতুর্মুখী লড়াই হয়েছিল। সেই সময় বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের ঝুলিতে গিয়েছিল প্রায় ৩১৭৫১৫টি ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রিয় জায়া দীপা দাসমুন্সী পেয়েছিলেন ৩১৫৮৮১টি ভোট। ফলে মাত্র ১৬৩৪ ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সীকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। এদিকে ২০৩১৩১টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী নিমু ভৌমিক। ১৯২৬৩৪টি ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির ভাই সত্যরঞ্জন দাসমুন্সি৷