কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কী ভাবে হবে মাতৃ আরাধনা, তা নিয়ে বেশ উদ্বেগ রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারকে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড৷ পুজোয় সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রুখতে রাজ্যকে এবার সাত দফা সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিল উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি৷
আরও পড়ুন- ফের বোমার শব্দে কাঁপল উত্তপ্ত পাড়ুই! বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে উত্তেজনা!
পুজোয় কী ভাবে সংক্রমণের বৃদ্ধিতে লাগাম পরানো যায়, তা ঠিক করতে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের সদস্যরা৷ বোর্ডের এক বর্ষীয়ান সদস্যের কথায়, নিজস্ব জায়গা অনুসারে মণ্ডপ তৈরি করছেন উদ্যোক্তারা৷ কিন্তু জায়গা যেমনই হোক, মণ্ডপে যেন পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করতে পারে৷ যাতে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে৷ গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড যে সুপারিশগুলি করেছে, তার মধ্যে প্রথম হল, দেরী না করে সরকারের উচিত অবিলম্বে একটি আদর্শ পুজো মণ্ডপের মডেল তৈরি করা। সেই সঙ্গে পুজো কমিটিগুলি যাতে সেটা অনুসরণ করে চলে, তা সুনিশ্চিত করা। দ্বিতীয় হল, মাস্ক পরা বাধ্যতামূবক করতে হবে৷ প্রয়োজনে সরকারকে বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের হাতে থ্রি লেয়ার মাস্ক তুলে দিতে হবে৷ তৃতীয়ত, রাজ্য সরকারের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে৷ সেই টাকা দিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করুক পুজো কমিটিগুলি। বোর্ডের এক কর্তা বলেন, ‘‘যতদিন না ভ্যাকসিন হাতে আসছে, ততদিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র হল মাস্ক।’’
আরও পড়ুন- নেই মাস্ক, লাটে দূরত্ববিধি! কৃষক সাজে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক!
বোর্ডের চতুর্থ সুপারিশ, প্রতিটি পুজো কমিটিকে মণ্ডপে ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা প্রচার করতে হবে৷ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা, সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোওয়া, মাস্ক পরার কথা জানাতে হবে। পঞ্চমত, কোন কোন জেলার করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, আর কোথায় পরিস্থিতি সন্তোষজনক, সেই তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। ষষ্ঠ, প্রতি জেলায় করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়াতে হবে৷ কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী মিলিয়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ জেলায় জেলায় করোনা অতিমারীর সম্পর্কে প্রচার আরও জোরদার করার সুপারিশ করেছে কমিটি৷