চুঁচুড়া: সাড়ে তিন দশকের বাম আমলের অবসান যে আসন্ন তার প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। যে কয়েকটি কেন্দ্রে বাম প্রার্থীদের পরাজয় পরিবর্তনের সম্ভবনার জোরাল ইঙ্গিত হয়ে উঠেছিল তার মধ্যে অন্যতম হুগলি। সোমবার রাজ্যের অন্য ছ’টি কেন্দ্রের মতো এখানেও ভোট আছে। নিজেদের দু’বারের জয়ী প্রার্থী রত্না দে নাগের উপরেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল। পেশায় চিকিৎসক রত্নার রাজনীতিতে আসা পারিবারিক সূত্রে। তাঁর বিপক্ষে আছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেসের প্রতুল সাহা এবং সিপিএমের প্রদীপ সাহা। লকেট এবং রত্নাকে নিয়েই বেশি চর্চা হচ্ছে।
এবার পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। তাই ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রচার করে গিয়েছেন অমিত। তৃণমূলকে আক্রমণের পাশাপাশি লকেটকে জেতানোর ডাক দেন তিনি। কিন্তু এই কেন্দ্রে প্রার্থী নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। লকেটকে প্রার্থী করা হোক এটা চাননি। কিছুদিন আগে একটি বাড়িতে ভাঙচুরও চলে। সেই বাড়িতে থেকেই নির্বাচনের কাজ সামলাচ্ছেন তিনি। এর আগে বিজেপি যখন রথযাত্রার পরিকল্পনা করে তখনও বিতর্কে জড়াব লকেট।
তিনি বলেন, পরিকল্পিত ‘রথযাত্রা’ যারা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের রথের চাকার তলায় পিষে দেওয়া হবে। রথযাত্রার মূল উদ্দেশ্য রাজ্যে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আমরা এর আগেও বলেছি, আমাদের রথযাত্রা কেউ বাধা দিতে এলে তার মাথাটা রথের চাকায় পিষে দেওয়া হবে। প্রতিবাদ করে তৃণমূল। শুধু এই বিষয়টি নয় নানা কারণে বার বার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন লকেট। কিন্তু ইভিএমে তিনি কতটা লড়াই করতে পারবেন তা বোঝা যাবে এই ফল প্রকাশের দিন। এই কেন্দ্র সিপিএম প্রার্থী প্রতাপ সাহা আর কংগ্রেস প্রার্থী প্রতুল সাহা। এক সময়ে বামেদের গড় ছিল এই কেন্দ্র। এখন সংগঠন অনেকটাই দুর্বল। তবু এবার ভোটে সিঙ্গুরকে অস্ত্র করেই ভোটের ময়দানে নেমেছে বামেরা।