‘ভূতে’র গেরোয় সুপ্রিম কোর্টে জরিমানার কোপে রাজ্য

আজ বিকেল: দেশের শীর্ষআদালতের নির্দেশের পরেও কেন রাজ্যের কোনও হলে চলছে না ভবিষ্যতের ভূত সিনেমার প্রদর্শন, এবার রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ছবির প্রযোজনা সংস্থাকে বিনা কারণে হেনস্তার জন্য ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রাজ্যকে। তাও জানিয়ে দিল সুপ্রিম রায়। সেই ফেব্রুয়ারি থেকে ভবিষ্যতের ভূতের গেরো কিছুতেই রাজ্য সরকারের পিছু ছাড়ছে

‘ভূতে’র গেরোয় সুপ্রিম কোর্টে জরিমানার কোপে রাজ্য

আজ বিকেল: দেশের শীর্ষআদালতের নির্দেশের পরেও কেন রাজ্যের কোনও হলে চলছে না ভবিষ্যতের ভূত সিনেমার প্রদর্শন, এবার রাজ্যের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে ছবির প্রযোজনা সংস্থাকে বিনা কারণে হেনস্তার জন্য ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দিতে হবে রাজ্যকে। তাও জানিয়ে দিল সুপ্রিম রায়।

সেই ফেব্রুয়ারি থেকে ভবিষ্যতের ভূতের গেরো কিছুতেই রাজ্য সরকারের পিছু ছাড়ছে না। অনীক দত্তের এই ছবিটি মুক্তি পায় চলচি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি, রাজ্যের মাত্র ৪৪টি হলে ছবির মুক্তি হয়। দিন দুয়েক স্ক্রিনিংয়ের পর আচমকাই ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করে দেয় বিভিন্ন হল কর্তৃপক্ষ। ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছবির আগাম টিকিট বুকিং করে যে আয় হয়েছিল হল মালিকরা তা দর্শকদের ফিরিয়েও দেন। বহু দর্শককে ছবিটি দেখতে না পেয়ে বিফল মনোরথে ফিরতে হয়েছে। এরপরই দর্শকদের তরপে গত ৫ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে একটা আবেদন করা হয়। আবেদনের বিষয়বস্তু ছিল অনীক দত্তের ভবিষ্যতের ভূত ছবির প্রদর্শন আচমকা বন্ধ কেন হল, যেখানে সেন্সর বোর্ডের তরফে কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা নেই সেখানে ছবি প্রদর্শন বন্ধের পিছনে আসল ঘটনাটা কি। রাজ্য না  কেন্দ্রের নির্দেশে এমনটা করা হল। বেশিরভাগ হল মালিকরা যান্ত্রিক ত্রুটির দোহাই দিয়ে অস্বস্তি এড়িয়েছেন। কেউ বা বলেছেন উপরমহলের নির্দেশ তবে জনগণ যাই বলুক না কেন হাইকোর্টের মামলা সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছাতেই বিপাকে পড়ে রাজ্য সরকার। সেন্সরবোর্ডের ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও কেন ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ রাখা হল রাজ্যের কাছে তার জবাব চাওয়া হয়। যদিও এর কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি সরকার। শুধু জানানো হয় ছবিটির বিষয়বস্তু জানতে কলকাতা পুলিশরে তরফে অনীক দত্তকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তিতে পরিচালকের কাছে সেই চিঠির হদিশও মেলেনি।

সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড় সিং ফের ছবিটির প্রদর্শনের নির্দেশ দিলে গত ৫ এপ্রিল রাজ্যের বিভিন্ন হলে ভবিষ্যতের ভূতের স্ক্রিনিং শুরু হয়। তারপরেও দেখা যায় সব হলে ছবিটি চলছে না। পথে নামে নাগরিক সমাজ। রাজ্যকে ফ্যাসিস্ত সরকারের আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এদিন এই ছবির মামলা এজলাসে উঠলে বিচারপতি জানান, পরিচালক ও প্রযোজনা সংস্থাকে হেনস্তা করার অপরাধে রাজ্য সরকারকে জরিমানা করা হল। রাজ্য সরকারের তরফে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ যাবে ছবির প্রযোজনা সংস্থার কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + eight =