সাত সকালে দুয়ারে হাজির গজরাজ, ঘুম চোখে কার্যত হতভম্ব বাসিন্দারা

সাত সকালে দুয়ারে হাজির গজরাজ, ঘুম চোখে কার্যত হতভম্ব বাসিন্দারা

বাঁকুড়া: গ্রাম ছেড়ে শহরের পথে হাঁটি! সাত সকালে একটি দলছুট হাতি দাপিয়ে বেড়ালো বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীণ পৌর শহর সোনামুখীর অলিগলিতে। যার জেরে হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে গেল জঙ্গলমহলের অন্যতম এই এলাকায়৷

কারণ, সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে বিশালাকয় গজরাজকে দেখে বাসিন্দাদের কার্যত ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হাল! পরে বাসিন্দারা একজোট হয়ে হাতি তাড়ানোর জন্য পথে নামলেও তাতে ‘ডোন্ট কেয়ার অ্যাটিটিউড’ই দেখালেন গজরাজ৷ বরং বাসিন্দাদের চিল চিৎকারকে একটুও পাত্তা না দিয়ে  বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীণ পৌর শহর সোনামুখীর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াল দলছুট হাতি।

বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দলছুট হাতিটি সোনামুখী রেঞ্জের ইন্দকাটা বিট থেকে বেরিয়ে শহরের শ্যামবাজার, রুদ্রপাড়া এলাকায় ঢুকে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সেখান থেকেই কোনওভাবে পথ ভুলে সোনামুখী শহরে ঢুকে পড়ে সে৷ স্বভাবতই সাত সকালে ঘরের চৌকাঠে শালাকার গজরাজকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরবাসী। তবে হাতির আক্রমণে বড় ধরণের কোনও ক্ষতির খবর নেই।

জানা গিয়েছে, শহরে ঢোকার আগে রাতের অন্ধকারে সোনামুখীরই রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমাজপতি পাড়া গ্রামে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় এই দলছুট হাতিটি৷ সেখানে বেশ কয়েক বিঘা জমির আলুর ক্ষতি করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বনের মতো বাঁকড়ার জঙ্গলমহলে হাতির পাল যেন নিত্য আসা যাওয়া শুরু করেছে৷ ফলে তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা৷ একই সঙ্গে হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা বেজায় ক্ষুব্ধ প্রশাসনের ভূমিকায়৷ তাঁরা বলছেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাঁকুড়ার একটা বড় অংশের মানুষের কাছে হাতি সমস্যা অন্যতম বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার উত্তর বন বিভাগের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল হাতির অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষেদের৷ এবার অবশ্য শুধু গ্রাম নয়, হাতি হানা দিচ্ছে শহরেও৷ ফলে আতঙ্কিত শহরের বাসিন্দারাও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 2 =