বাঁকুড়া: পেট্রল, ডিজেলে দাম কমানোর দাবি নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত৷ তবে পেট্রোপণ্যের দাম না কমলেও এবার দাম কমল মদের৷ পেট্রোপণ্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মধ্যবিত্তের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, ঠিক তখন সুরা প্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে হাজির রাজ্য সরকার। ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে আরও ‘সস্তা’ করে দেওয়া হচ্ছে বিলিতি মদ। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাঁকুড়ার সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।
তাঁদের কথায়, ‘‘এ কেমন রসিকতা?’’ প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেট্রোল- ডিজেলে যথাক্রমে ৫ ও ১০ টাকা দাম কমানো হয়েছে। আর তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত পেট্রোপণ্যের দাম অপরিবর্তিও আছে। পরে কেন্দ্রের দেখানো পথে হেঁটে দাম কমিয়েছে বিজেপি ও অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও। ব্যতিক্রম শুধু পশ্চিমবঙ্গ। এই অবস্থায় সাধারণ মধ্যবিত্তের কথা না ভেবে পেট্রোপণ্যের দাম কমানো হয়নি, উল্টে দাম কমছে বিলিতি মদের।
পেশায় কৃষিজীবি সুভাষচন্দ্র শীট বলেন, ‘‘মদের দাম যত খুশী বাড়ুক, ক্ষতি নেই। দাম কমানো হোক পেট্রল ডিজেলের। পাম্প চালিয়ে সেচের জল দিতে হয়, প্রয়োজন হয় ডিজেলের। এভাবে চলতে থাকলে ‘আত্মহত্যা’ করা ছাড়া পথ নেই৷’’ স্থানীয় বাসিন্দা রাজু হালদার বলেন, ‘‘পেট্রল ডিজেলের দাম বাড়া মানে সমস্ত কিছুর দাম বাড়বে। ফলে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। রাজ্য সরকার কোন জনস্বার্থে মদের দাম কমিয়েছেন তারাই বলতে পারবেন৷’’
বাঁকুড়া শহরের তরুণ তপন দত্ত বলেন, ‘‘মদের দাম কমিয়ে মদ্যপায়ীদের উৎসাহিত না করে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে পেট্রোপণ্যের দাম কমানো উচিৎ। অন্য রাজ্য গুলি যখন এই কাজ করেছে এরাজ্যেও তা উচিৎ৷’’ জোরাল অভিযোগ এনেছে গেরুয়া শিবির৷ তাঁদের দাবি, মদের দাম কমিয়ে ‘যুব সমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে ফেলে দিতে চাইছে’ রাজ্য সরকার। দলের রাঢ় বঙ্গ জোন কমিটির কনভেনর পার্থ কুণ্ডু বলেন, ‘‘মদের দাম কমিয়ে রাজস্ব আদায়ের চেষ্টার পরিবর্তে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে পেট্রল- ডিজেলের দাম কমালে সেটি বেশী ভাল হতো। রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই, বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। আর তাই যুব সমাজকে ঐ সব বিষয় নিয়ে ‘ভুলিয়ে রাখতে’ মদের নেশায় ডুবিয়ে রাখতে চাইছে রাজ্য সরকার৷’’