ভোটের বাজারে লাফিয়ে বাড়ছে ফলের দাম

কলকাতা: সামনেই একগুচ্ছ পুজো। সেই পুজোর তালিকায় আছে বাসন্তী, অন্নপূর্ণা, রামনবমী, নীলষষ্ঠী, চড়ক গাজন এবং গণেশ পুজো। বাজারে ফলের জোগান থাকলেও তার দাম আগুন। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, একসঙ্গে এতগুলি পুজো পর পর হলে ফলের দাম তো চড়া হবেই। তাঁদের কথায়, শুধুমাত্র পুজোই নয়, এরসঙ্গে গোটা চৈত্র মাস জুড়ে চলে শিবব্রত। তখন জেলায় জেলায় বহু মানুষ গলায়

ভোটের বাজারে লাফিয়ে বাড়ছে ফলের দাম

কলকাতা: সামনেই একগুচ্ছ পুজো। সেই পুজোর তালিকায় আছে বাসন্তী, অন্নপূর্ণা, রামনবমী, নীলষষ্ঠী, চড়ক গাজন এবং গণেশ পুজো। বাজারে ফলের জোগান থাকলেও তার দাম আগুন। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, একসঙ্গে এতগুলি পুজো পর পর হলে ফলের দাম তো চড়া হবেই।

তাঁদের কথায়, শুধুমাত্র পুজোই নয়, এরসঙ্গে গোটা চৈত্র মাস জুড়ে চলে শিবব্রত। তখন জেলায় জেলায় বহু মানুষ গলায় ধরা এবং সন্ন্যাসের পোশাক পরে বিকেলে ফলাহার এবং রাতে মালসা ভোগ আহার করেন। স্বাভাবিকভাবেই সারা মাস ওই মানুষজন নানা ধরনের ফল কিনে থাকেন। তার সঙ্গে সংযোজন হয়েছে এই পুজো পার্বণ। প্রায় প্রতিটি ফলের দামই এখন আগুন। চাহিদা থাকলেও সাধারণ মানুষ তা কাটছাট করে তবেই ফলের বাজারের দিকে পা বাড়াচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামবাজারে ফল কিনতে এসেছিলেন অর্কদীপ হাজরা ও শুভেন্দু মোদক নামে দুই যুবক। কথা প্রসঙ্গে তাঁরা জানান, আর জি করে তাঁদের এক আত্মীয় ভর্তি আছেন। তাঁর জন্যই কিছু ফল কিনতে এসেছি। কিন্তু দাম শুনে তো ভিমড়ি খাওয়ার জোগাড়! মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ওই দুই যুবক বললেন, দুটো ডাব কিনতেই গচ্ছা গেল ৭০ টাকা। আর আপেল কিনলাম ১২০ টাকা কেজি দরে। বেদানা ১০০ টাকা। আর আঙুরের কেজি ১২০ টাকা। ওই বাজারেই শশা বিকোচ্ছে ৬০ টাকায়। পরিমাণের সাইজের একটি ঝুনো নারকেল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। চারটে কাঁঠালি কলার দাম ২০ টাকা। কোথাও পাঁচটি কলা বিক্রি হচ্ছে ওই দামে। পাকা আম ১০০ ১২০ টাকা। প্রমাণ সাইজের সবেদা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + fourteen =