বারাসত: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের স্বমহিমায় প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। রবিবার মুর্শিদাবাদে অধীরের নেতৃত্বে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে পাঁচ হাজার কর্মী যোগ দেন কংগ্রেসে। মঙ্গলবার, বারাসতে গিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকেই মুর্শিদাবাদের যেকোনও আসন থেকে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অধীর।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির গদি হারিয়েছেন। রাজনীতির ময়দানে চুপ ছিলেন বেশ কিছুদিন। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতির হাত ধরেই কী উলটপুরাণ হতে চলেছে বঙ্গ কংগ্রেসে? আপাতত অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ঘিরে এমনই আলোচনা শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। গত ১৩ ডিসেম্বর অধীরের নেতৃত্বেই মুর্শিদাবাদে ভাঙন ধরে তৃণমূল ও সিপিএমে। যে মুর্শিদাবাদ থেকে এই লোকসভা নির্বাচনে জোড়াফুল ফোটাতে বদ্ধপরিকর জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। এবার তাঁকে বেগ দিয়েই তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রসে যোগ দিলেন ৪ হাজার কর্মী। নেপথ্যে সেই অধীর চৌধুরী। এরপরেই তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেন তিনি।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বারাসতের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করন অধীর চৌধুরী। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রীকেই। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদের যে কোনও আসন থেকে লড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার বার্তা দেন তিনি। কয়েকদিন আগেও মুর্শিদাবাদের বেতাজ বাদশা বলা হত অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। শুভেন্দুর আগমণে অধীর গড় টলমল হয়ে গিয়েছিল। দেশ জুড়ে কংগ্রেসের উত্থানে আবারও কি মুকুট ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় অধীর চৌধুরী, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।