যাত্রা দেখে বাড়ি ফেরা হল না, মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটায় মৃত্যু ৪ যুবকের

যাত্রা দেখে বাড়ি ফেরা হল না, মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটায় মৃত্যু ৪ যুবকের

 

কান্দি: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল চার যুবকের৷ সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার বড়ঞা থানার মড্ডা গ্রামে৷ জানা গিয়েছে, গত রাত্রে ওই চার যুবক যাত্রা শুনতে পাশের গ্রামে গিয়েছিল৷ সারারাত বাড়ির বাইরে থাকার পর সোমবার সকালে ওই চার যুবক একটি মোটর বাইকে চেপে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মড্ডা এলাকার একটি কালভাটে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় চারজনের৷

মৃতরা হলেন- দীপ বাগদি ও কল্যাণ বয়েন৷ বাড়ি বেলগ্রামে৷ ওই গ্রামেই মামারবাড়ি বেড়াতে আসা কিন্নাহারের বাসিন্দা রিনিত মাঝি ও তালোয়া গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ বাগদির মত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়৷ ঘটনার পর বড়ঞা থানার পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতলে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনার জেরে শোকের আবহ বড়ঞা থানার মড্ডা গ্রামে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

অন্যদিকে বাসন্তী হাইওয়েতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মৃত বাস কন্ডাক্টরের৷ জানা গিয়েছে, বসিরহাট মহকুমার নেজাট থানার বয়ারমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসশাকদা বাগানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নাম হাফিজুল শেখ পেশায় ধামাখালি বি গার্ডেন বাস রুটের বাস কন্ডাক্টর৷ মৃতের মেজ ভাই সাইদুল সেখ জানাচ্ছেন, সারাদিন বাস চলার পর বাসটিকে ঘুসিঘাটা পেট্রোল পাম্পে পার্কিং করে মোটর বাইকে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন৷ মালঞ্চের আগে বগিরহুলা যেতেই মোটর বাইকের সামনে এবং পেছনের ব্রেকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অর্থাৎ ব্রেক ফেল হয়ে যায়৷ তারপর বাম্পারে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে যায় রাস্তার পাশে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মিনাখা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বছর পঁয়ত্রিশের হাফিজুল শেখকে মৃত বলে ঘোষণা৷

ইতিমধ্যে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ পাশাপাশি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে ঠিক কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে৷ঘটনার জেরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ তার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে৷ যার মধ্যে একটি বিবাহ হয়ে গেছে৷ অপরটি এখন পড়াশোনা করছে৷ স্বভাবতই পরিবারের একমাত্র রোজগেরের মৃত্যুতে রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট পরিবারটি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *