vcs
কলকাতা: রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত নতুন কিছু নয়। বিগত কয়েক বছর ধরে সেই একই ‘রীতি’ চলে আসছে। তবে এবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যেন অন্য মোড় নিয়ে নিল। এবার বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হল। না, সরকার পক্ষের কেউ নন, তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য। ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে রাজভবনে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শেষ কয়েক দিনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে কার্যত সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলতে ছাড়েননি, আবার রাজ্যপাল তাঁকে ‘জুনিয়র কর্মী’ও বলেছেন। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েই তাঁদের মধ্যে বিভেদ। রাজ্যপাল আইন বহির্ভূত কাজ করছেন বলে দাবি রাজ্যের। এই অবস্থায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শিক্ষাক্ষেত্রে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ পর্যন্ত তোলা হয়েছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনের বাইরে ধর্নার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। একাধিক উপাচার্যরা সেখানে গিয়ে ধর্নাও দেন। এবার সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ।
তৃণমূলপন্থী উপাচার্য ফোরামের বক্তব্য, রাজভবনে ই-মেল মারফত আইনি নোটিস পৌঁছে গিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। কিন্তু কোন প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ? আসলে সম্প্রতি কেন রাজ্য সরকারের মনোনীত উপাচার্যদের নিয়োগ করতে পারেননি, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি ছিল, যে তালিকা তিনি পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে কেউ দুর্নীতিপরায়ণ, কারোর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আছে। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।