বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুর পুরসভার টেণ্ডার বেনিয়ম কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। আগেই পুলিশের জালে উঠেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷ এবার ধৃত মন্ত্রী ঘনিষ্ট বিষ্ণুপুর পুরসভার অস্থায়ী পদে কর্মরত এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ধৃতের নাম, দিলীপ গরাই৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন ওভারশিয়র পদে ছিলেন৷ আজ বুধবার ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে৷ পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানাবে পুলিশ৷
বিষ্ণুপুর পুরসভার বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে৷ তারই তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশ দেখে বিষ্ণুপুর পুরসভা এলাকায় প্রায় ১০ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতি হয়েছে৷ এরপরই শনিবার রাতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার তিন দশকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রীজ’ করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রের খবর, সোম এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় জেরা করে শ্যামাপ্রসাদের কাছ থেকে উঠে আসে একাধিক তথ্য৷ তারই ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তদন্তকারীরা পুরসভার প্রাক্তন ওভারশিয়র ও বর্তমানে অস্থায়ী পদে কর্মরত দিলীপ গরাইকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারীরা৷ পুলিশের দাবি, টেন্ডার বেনিয়ম প্রসঙ্গে বেশ কিছু অসংগতি দেখা যায দিলীপের কথায়৷ এরপরই পুরসভার অস্থায়ী কর্মী দিলীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুরো বেনিয়ম কাণ্ডের তদন্তে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গণেশ বিশ্বাস, বিষ্ণুপুরের এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান, বিষ্ণুপুর থানার আইসি নন্দন মণ্ডল প্রমুখেরা৷ মঙ্গলবার থেকেই তাঁরা ঘাঁটি গেড়েছেন বিষ্ণুপুর পুরসভায়৷ দফায় দফায় জেরা চলছে বেনিয়ম কাণ্ডে পুরসভার একাধিক কর্মীকে৷ সূত্রের খবর, শ্যামাপ্রসাদ ঘনিষ্ট আরও কয়েকজন পুরকর্মী নজরে রয়েছেন তদন্তকারীদের৷